Image default
প্রযুক্তি

সার্ভার কী? এর কাজ ও বিভিন্ন প্রকার সার্ভারের বর্ননা

সার্ভার এর সহজ বাংলা হলো যে বা যারা সার্ভ করে। আপনি যদি কোন রেস্টুরেন্ট এ যান, সেখানে খাবার অর্ডার করেন, তাহলে আপনি হচ্ছেন একজন ক্লায়েন্ট আর রেস্টুরেণ্ট হচ্ছে সার্ভার। ঠিক তেমনি ইন কম্পিউটিং, সার্ভার হচ্ছে একটি কম্পিউটারের একটি প্রোগ্রাম যে অন্য কম্পিউটারের কোন প্রোগ্রামকে সার্ভ করে। এখন আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে পারে যেখান থেকে গান ডাউনলোড করা যায়।

এই গান ডাউনলোড করার ওয়েবসাইটটি মূলত একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম যাকে কোন কম্পিউটার রান করে। সাধারণত সার্ভার রিমোট লোকেশানে একটা কম্পিউটার থাকে যেখানে আপনার একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার থাকে যা আপনার ওয়েব সাইটটিকে সারাক্ষণ রান করিয়ে রাখবে এবং যখনি কোন ক্লায়েন্ট কোন রিকুয়েস্ট করবে সাথে সাথে তাকে সার্ভ করবে।

সার্ভার কী?

সাদা কথায়, সার্ভার আসলে একটি কম্পিউটার যেটি অন্য কোন কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে কোন রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে এবং সেই অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করে থাকে। অর্থাৎ একটি সার্ভারে বিপুল পরিমাণ তথ্য জমা থাকে। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) বা ইন্টারনেট দুইটি মাধ্যমের যে কোন একটি ব্যবহার করেই সার্ভার কাজ করতে পারে। বলা বাহুল্য, সার্ভারের এই রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট এবং তথ্য আদান প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকা জরুরী নয়। ইন্টারনেট সম্পর্কে ১৫টি অজানা তথ্য আপনাকে যদিও অবাক করবে, সার্ভারের ক্ষেত্রে এটি জরুরী নয়।

তবে ওয়েব সার্ভার এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকাটা জরুরী। কেননা এখানে সার্ভার একজন ইউজারের কাছে থেকে যে রিকোয়েস্টটি গ্রহণ করবে এবং যে তথ্যটি আদান প্রদান করবে, তার জন্য মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট এবং একটি ওয়েব ব্রাউজার। ওয়েব সার্ভার এবং এর কাজের প্রক্রিয়াটিকে আরও একটু সহজভাবে বলা যাক।

সার্ভার
সার্ভার ; ছবি : banglahackingpaper

আপনি যেহেতু এই লেখাটি এইমুহূর্তে পড়ছেন, তাই এর আগে আপনাকে কয়েকটা কাজ করতে হয়েছে। প্রথমত আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন আছে এমন একটি ফোন বা কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করতে হয়েছে। তারপর সেখানে কোন লিংকে ক্লিক অথবা সরাসরি হৈচৈবাংলা ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস লিখতে হয়েছে। এবার অল্প কিছু সময় আপনাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং তারপর আপনি লেখাটি আপনার ওয়েব ব্রাউজারে দেখতে পেয়েছেন। কথা হচ্ছে লেখাটি কোথা থেকে আপনার ব্রাউজারে চলে এলো?

নিশ্চয়ই এটি হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় না, কোথাও না কোথাও ডিজিটালি লেখাটিকে স্টোর করে রাখতে হয়েছে। আরও ভালো করে বললে কোন না কোন কম্পিউটারের মেমোরিতে লেখাটিকে রাখা হয়েছে। যেন আপনি যে কোন মুহূর্তে রিকোয়েস্ট করলেই সেই কম্পিউটার আপনাকে লেখাটি দেখাতে পারে।

আপনি যখন ব্রাউজার ওপেন করে কোন লিংকে ক্লিক করলেন অথবা ওয়েব অ্যাড্রেসটি লিখলেন তখন মূলত ব্রাউজার থেকে সেই নির্দিষ্ট ওয়েবপেজটি দেখানোর জন্য একটি কম্পিউটারে রিকোয়েস্ট পাঠানো হলো। সাথে সাথে সেই কম্পিউটার আপনার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে ব্রাউজারকে ওয়েবপেজটি দেখার অনুমতি দিলো, যেটি আগে থেকেই তার মেমরিতে বা হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণ করা আছে। তখন ব্রাউজার সেই কম্পিউটারে থাকা ওয়েবপেজটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম হলো। আর এই কম্পিউটারটিকেই বলা হয় সার্ভার বা ওয়েব সার্ভার। সহজ কথায় এটিই আসলে একটি সার্ভার কী তার উত্তর অর্থাৎ সার্ভারের পরিচয় এবং তার কাজের পদ্ধতি।

আমরা যেসব ওয়েবসাইট বা ওয়েব এপ্লিকেশন গুলো ব্যবহার করি

যেমন – ফেইসবুক, গুগুল, বা fusionbd.com এগুলো রিমোট লোকেশান এ একটি বা একাধিক কম্পিউটার এ রান হয়। আমরা মোবাইল ডিভাইস বা আমাদের কম্পিউটার এর ব্রাউজার দিয়ে সেগুলোকে একসেস করি অর্থাৎ আমাদের ব্রাউজার হচ্ছে একটি ক্লায়েন্ট যা কিনা সার্ভারে রিকুয়েস্ট করে আর সার্ভার সেই রিকুয়েস্ট সার্ভ করে বা রেসপন্স পাঠায়।

বিভিন্ন প্রকারের সার্ভার

  • ওয়েব সার্ভার
  • এন.এন.পি.টি সার্ভার
  • ডাটাবেজ় সার্ভার
  • ইমেইল সার্ভার
  • আইডেন্টি সার্ভা
  • এফ.টি.পি সার্ভার ইত্যাদি

ওয়েব সার্ভার হল এমন এক প্রকারের সার্ভার যা html বা css বা php ইত্যাদি হাইপার টেক্সট সাথে সংযুক্ত ফাইল গুলোকে ক্লাইন্ট হোস্টে প্রেরন করে। মুল কথা হল কোন ওয়েব সাইট কে যেখানে হোস্ট করা হয় তাকে ওয়েব সার্ভার বলে । বর্তমানে অনেক প্রকারের ওয়েব সার্ভার দেখা যায় , যেমন মাইক্রোসফট এর আইআইএস বা IIS সার্ভার বা লিনাক্স এর Apache . এবং সকল প্রকার ওয়েব সার্ভার এ http protocool ব্যবহার করা হয় ।

ওয়েব সার্ভার

ওয়েব পেইজ বা ওয়েবসাইট এর ডাটা সংরক্ষিত থাকার স্থানকে ওয়েব সার্ভার বলে । ওয়েব ব্রাউজারে যখন কোন কিছু লিখে ইন্টার বাটনে ক্লিক করা হয়, তখন ওয়েব সার্ভার থেকে তথ্য ওয়েব ব্রাউজারে কাঙ্খিত কনটেন্ট দেখা যায়। ওয়েব সার্ভার একটি এ্যাপ্লিকেশনের হল চলন্ত অনুরোধ যা ব্যবহারকারী থেকে অনুরোধ গ্রহণ করে ও কাঙ্খিত অনুরোধের প্রতিউত্তর দেয়। সার্ভার যে কোন কম্পিউটারে চলতে পারে।

ওয়েব সার্ভার
ওয়েব সার্ভার ;ছবি : informationq

শুধু সার্ভারের কাজে নিয়োজিত করা কম্পিউটারকে একক ভাবে “সার্ভার” উপলব্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার বিভিন্ন সেবা দিতে পারে এবং বিভিন্ন সার্ভার চালু থাকতে পারে। ডাটা সিকিউরিটির জন্য শুধুমাত্র সার্ভারের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত থাকে অনেক কম্পিউটার। বিশেষ কম্পিউটারে চালানোর জন্য বেশিরভাগ সার্ভারই দুর্দান্ত প্রক্রিয়ার এবং ডিজাইন করা হয়।

ইমেইল সার্ভার

ইমেইল হল ইন্টারনেটে যোগাযোগ করার সবচাইতে সহজ মাধ্যম এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।আর এমন একজনও ইন্টারনেট ব্যাবহারকারি পাবেন না যাদের একটি ইমেইল এড্রেস নাই। কারন বর্তমান সময়ে একটি স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করতেও ইমেইল এর প্রয়োজন পরে। আর কেউ যদি ইমেইল এড্রেস ব্যাবহার না করেও থাকে তবুও তার একটি ইমেইল এড্রেস আছে।আপনি আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে যেকারও ইমেইল এড্রেস টাইপ করে আপনার যেকোনো বার্তা এবং ফাইল অ্যাটাচ করে মাত্র কয়েক সেকেন্ড এর ভেতর আপনার কাঙ্কখিত বার্তাটি পেরন করতে পারেন। এই ইমেইল পাঠাতে একটি নির্দিষ্ট সার্ভার ব্যাবহার করে আপনাকে বার্তা প্রেরন করতে হয়। আপনি যদি কাউকে ইমেইল পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার ইমেইলে লগিন করতে হবে। এটা হতে পারে জিমেইল,ইয়াহু অথবা অন্য কোন ইমেইল প্রভাইডার।লগিন করার পর আপনাকে নতুন ইমেইল সেন্ট করার অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর পর আপনার বন্ধুর ইমেইল এড্রেস লিখতে হবে। যা অনেক টা এই রকম user@companyname.com এখানে ইউজার হল আপনার বন্ধুর ইমেইল এর ইউজার নাম এবং কোম্পানি নাম হল ইমেইল প্রভাইডার এর নাম।

ইমেইল সার্ভার
ইমেইল সার্ভার ; ছবি : helpdeskgeek

যেমন – আপনার বন্ধুর ইমেইল যদি গুগল এর জিমেইল হয় তাহলে আপনার বন্ধুর ইমেইল হবে এই রকম, user@gmail.com অথবা আপনার বন্ধুর ইমেইল যদি হয় ইয়াহু তবে আপনার বন্ধুর ইমেইল এড্রেস হবে user@yahoo.com। আপনি যখন কোন ইমেইল কোন মেইল বেবহারকারিকে সেন্ট করেন তখন আপনার ইমেইল টি একটি সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকলের মাধ্যমে আউটগোয়িং সার্ভারে চলে যায়। সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল আপনার ইমেইল টি পাওার পর এটি যাচায় করবে যে আপনি আসলে কথায় ইমেইলটি সেন্ট করতে চাইছেন। এখানে আপনার ডোমেইন নামের প্রয়োজন পরে। কিন্তু সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল ডোমেইন নাম বুঝে না আর এই সময় সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল ডোমেইন নাম সিস্টেম এর সাথে যুক্ত হয়। আর ডোমেইন নাম সিস্টেম এর সাথে যুক্ত হতে সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল ডিএনএস এর সাহায্য নেয়।পৃথিবীর প্রতিটা ডোমেইন এর আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস থাকে যা দ্বারা নির্দিষ্ট ডোমেইন কে খুজে বের করা হয়। আর এই কাজ টি সম্পন্ন করে ডিএনএস সিস্টেম। এবার সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল যেহেতু জেনে গেছে ইমেইল টি কোন ডোমেইনে সেন্ট হবে এবং যেহেতু সে ডোমেইন এর সাথে ডিএনএস সিস্টেম এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে,সেহেতু সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল এখন ডিএনএস সিস্টেম কে ব্যাবহার করে ইমেইলটি নির্দিষ্ট সার্ভারে সেন্ট করে দিবে।এবং সেই সার্ভার নির্দিষ্ট বেবহারকারির ইমেইল অ্যাকাউন্ট এর ইনবক্সে সেন্ট করে দিবে।

আইডেন্টি সার্ভার

এই ধরণের সার্ভারগুলো ইউজারের লগ-ইন এবং সিকিউরিটি মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, অনেকটা ডাটাবেস ধরণের।

এফটিপি সার্ভার

নেটওয়ার্ক এর মধ্যে File Transfer করবার এক ধরনের মাধ্যম বা প্রটোকল হল FTP এবং এটি পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় ওয়েব বেজড ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য । ওয়েব বেজড ফাইল গুলোও একটি নেটওয়ার্ক এর ই অংশ । FTP এর পুর্ণ রুপ হচ্ছে File Transfer Protocol. এক কথায় বলা যায় ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল (এফটিপি) হল একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল মানদণ্ড যা একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে কম্পিউটার ফাইলগুলির স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সুধু মাত্র ফাইল সার্ভ করার জন্য যে সার্ভার গুলো থাকে সেগুলো আসলে FTP Server এবং আজ কাল অনেক ISP ( Internet Service Provider ) ই FTP সার্ভার ব্যবহার করে । যে সার্ভার গুলো সুধু ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য ব্যবহার হয় সেগুলোতে FTP ব্যবহার করা হয় । বড় বড় সফ্টওয়ার গুলোও FTP Server এ হোস্ট করা হয়। FTP Server গুলোতে http:// বা https:// এর পরিবর্তে ftp:// বা ftps:// ব্যবহার করা হয় । আর প্রতিটি ওয়েব সার্ভার এই FTP সুবিধা থাকে করান এতে করে সহজেই সাভারে ফাইল আদান প্রদনা করা যায় ।

এফটিপি সার্ভার
এফটিপি সার্ভার ; ছবি : quora

যেহেতু ডেডিকেটেড সার্ভারের ব্যবহার কমে গেছে, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ওয়েব সার্ভার, ইমেইল সার্ভার, আইডেন্টি সার্ভার ইত্যাদি একত্রিত করে কম্বাইন্ড বা হাইব্রিড সার্ভার ব্যবহার করতে। বাণিজ্যিকভাবে যে সব প্রতিষ্ঠান হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে তারা সর্বদাই এধরণের কম্বাইন্ড বা হাইব্রিড সার্ভার ব্যবহার করে থাকে।

সার্ভার সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য

সারা পৃথিবী থেকে যে কোন মুহূর্তে চাইলেই একটি ওয়েবসাইট দেখে নেওয়া যায়। তাই সার্ভারকেও সারাক্ষণ সচল থাকতে হয়। একটি সার্ভার কম্পিউটার সাধারণত একবার চালু হলে একদম নিরবিচ্ছিন্নভাবে অর্থাৎ সপ্তাহের সাতদিন এবং দিনের ২৪ ঘন্টাই এটি চালু থাকে।

পাশাপাশি যেহেতু একই সাথে অসংখ্য রিকোয়েস্ট প্রসেস করতে হয় তাই সার্ভার কম্পিউটারগুলো আমাদের পরিচিত সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী হয়ে থাকে। শক্তিশালী এই সার্ভার কম্পিউটারগুলোকে সারাক্ষণ সচল রাখার জন্য জন্য নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই সহ শীতলরাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়।

তবে মেইনটেইন্স এর জন্য মাঝে মাঝে সার্ভারকে শিডিউল অনুযায়ী অফলাইনে নেওয়া হয়, সে সময়ে সাধারণত ঐ সার্ভারে থাকা ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকলে সংক্ষিপ্ত একটি মেসেজের মাধ্যমে ইউজারকে মেইনটেইন্সের ব্যাপারটি জানিয়ে দেওয়া হয়।

সবসময় মেইনটেইন্সের জন্যই যে সার্ভার ডাউন হয়ে যায় বা অফলাইনে চলে যায় এরকম নয়, হ্যাকের কারণেও একই রকম ঘটনা ঘটতে পারে।

সূত্র : হৈচৈ বাংলা, স্যাট একাডেমী

Related posts

বুয়েটছাত্রের মৃত্যু, বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার

News Desk

এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্লেন

News Desk

পৃথিবীতে রাজত্ব করত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন টিরানোসরাস রেক্স!

News Desk

Leave a Comment