মুখের ত্বক বা মাথার খুলিতে কোনো কোনো গুরুতর আঘাত লাগলে সেটা চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ। কারণ এই জায়গা গুলোতে টিসুর বিভিন্ন লেয়ার থাকে, যার ফলে ডাক্তার খানিক অসুবিধে হয়।
কিন্তু খুব সম্প্রতি পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ইদুরের ওপর সার্জারির সময় বায়োপ্রিন্টিং ব্যবহার করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন। এই ভাবে সার্জারি করলে হাড় ও ত্বকের ক্ষত দ্রুত মেরামত হয়।
পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স, মেকানিক্স, বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও নিউরো সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইব্রাহিম অজবলাট বলেন ” হার্ড ও সফ্ট টিসু একসঙ্গে সারিয়ে তোলার কাজ করা খুবই কঠিন, কিন্তু এই গবেষণার ফলাফল বেশ আশাব্যঞ্জক”।
বর্তমানে মস্তিষ্কের খুলিতে কোনো গর্ত মেরামত করতে হাড়ের ও ত্বকের টিসু মেরামত করতে লাগে। যা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে, তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
অজবোলাট ও তার সমগ্র টিম এই বিষয়ের ওপর দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। গবেষণার সময় তারা একস্ট্রুশণ বায়ো প্রিন্টিং ও ড্রপলেট বায়ো প্রিন্টিং এর মিশ্রনে গবেষণা সম্পন্ন করেছে। এবং অ্যাডভান্স ফাঙ্কসনাল মেটেরিয়াল জার্নালে গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে ” সল্য চিকিৎসায় এমন কোনো পদ্ধতি নেই যেখানে হার্ড ও সফ্ট টিসু একত্রে মেরামত করা যায়। তাই জন্য আমরা এমন এক প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছি যেখানে আমরা সমগ্র হাড় ও এপিডারমিসের সমস্যাটি একত্রে মেরামত করতে পারবো”।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন ” এই পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এই বিষয়ে গবেষণা করেছি। হাড়, ত্বক ও বায়ো প্রিন্টিং এর সঠিক পদ্ধতির খোঁজ করতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। এবং শেষমেষ সফল হয়েছি। স্কিন ও হাড়ের বায়ো প্রিন্টিং এর জন্য ৫ মিনিটের ও কম সময় লেগেছে।