ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও ওয়েইন রুনি। একসময়ের দুই বন্ধুর একজন ৩৭ বছর বয়সেও এখনো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক লিগ (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলে যাচ্ছেন। আরেকজন এক বছরের ছোট হলেও বেশ কয়েকবছর আগেই খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি ঘটিয়ে এখন পুরোদস্তুর কোচিং পেশায় জড়িয়ে আছেন। তারা দু’জন আবারও আলোচনায়।
সর্বশেষ যেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল, সে সময় দলটির সেরা দুই ফরোয়ার্ড ছিলেন রোনালদো ও রুনি। এরপর অনেক কিছুই বদলেছে। রোনালদো রিয়াদ মাদ্রিদে পাড়ি জমান, নিজেকে নিয়ে যান সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের কাতারে। পরবর্তীতে জুভেন্টাসেও খেলেন তিন মৌসুম এবং এখন আবারও ম্যানইউতে ফিরে এসেছেন।
অন্যদিকে, রুনি ৬ বছর আগেই ইউনাইটেড ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এরপর পাড়ি জমান এভারটনে এবং সেখান থেকে এমএলএসের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেড ও ডার্বি কাউটির হয়ে কিছুদিন খেলেছেন। অবসরের পর এখন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ডার্বি কাউন্টির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝেমধ্যে বিশেষজ্ঞ টিভি ধারাভাষ্যেও দেখা যায় তাকে।
সেটি করতে গিয়েই এবার এককালের প্রিয় বন্ধু রোনালদোর রোষানলে পড়েছেন রুনি। সম্প্রতি সাবেক এই ইংলিশ তারকা বলেছিলেন, ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোকে ম্যানইউতে ফিরিয়ে আনা ক্লাবের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, যে উদ্দেশে পর্তুগিজ সুপারস্টারকে ফিরিয়ে আনা হয়, সেটি না কি পূরণ হয়নি। আর সেই কথা রোনালদোর কানে পৌঁছাতেও দেরি হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে জবাবও দিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে স্কাই স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে সহ-আলোচক জেমি ক্যারাঘারের সঙ্গে রুনির পোস্ট করা একটি ছবিতে রোনালদো মন্তব্য করেছেন, ‘দুই ঈর্ষান্বিত!’ রোনালদোর এমন মন্তব্য হাসিমুখেই মেনে নিয়েছেন রুনি। বলেছেন, সিআরসেভেনকে ঈর্ষা করা না কি দোষের কিছু নয়।
গত বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুনি বলেন, ‘আমি ওর (রোনালদো) মন্তব্যটা দেখেছি। আমার মনে হয় এই বিশ্বে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই, যে রোনালদোকে ঈর্ষা করে না। ওর ক্যারিয়ার, যা অর্জন, যতগুলো ট্রফি জিতেছে, যতগুলো গোল ও করেছে, যত টাকা কামিয়েছে, ওর সিক্স প্যাক দেহসৌষ্ঠব; এসব কিছু দেখে এক মেসি ছাড়া বাকি সব খেলোয়াড়ই ওকে ঈর্ষার চোখে দেখবে!’