স্প্যানিশ লা লিগার চলতি মৌসুম একেবারে শেষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। শিরোপা দৌড়ে টিকে আছে এখনও মাদ্রিদের দুই দল অ্যাটলেটিকো এবং রিয়াল। দুই পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ম্যাচে একেবারে শেষের দিকের দল রিয়াল ভায়াদোয়িদের মাঠে গিয়ে খেলতে নামবে অ্যাটলেটিকো। আর মাঝামাঝি থাকা ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ।

শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো হেরে গেলেই শিরোপা উঠবে রিয়াল মাদ্রিদের হাতে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিয়ারিয়ালকে হারাতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। তবে অ্যাটলেটিকো যদি রিয়াল ভায়াদোয়িদের সঙ্গে ড্র করে, তাহলে দু’দলের পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান। তখন হেড টু হেডে এগিয়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং শিরোপা জিতবে তারাই। সুতরাং, অ্যাটলেটিকোর অবশ্যই জয় প্রয়োজন।

আগামী শনিবার রিয়াল ভায়াদোয়িদের মুখোমুখি হবে অ্যাটলেটিকো। ভায়াদোয়িদের মাঠেই হয়তো শিরোপা উৎসবে মেতে উঠবে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। একই সঙ্গে ৪৪ বছরের মধ্যে তৃতীয়বার লা লিগা শিরোপা ঘরে তুলবে তারা।

মৌসুমের শুরুর দিকে একটু তাকানো যাক। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল পরাজয়ের পর বার্সায় পরিবর্তনের ঢেউ ওঠে। তৎকালীন সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু পরিবর্তনের জিগির তোলে। যে কারণে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজকে জোর করেই ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে বাধ্য করেন বার্তেম্যু অ্যান্ড কোং।

লুইস সুয়ারেজ আর্জি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সাইড বেঞ্চে বসে থাকবেন, তবুও ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে চান না। কিন্তু কোচ রোনাল্ড কোম্যান বলে দিয়েছেন, সুয়ারেজের জায়গা আর ন্যু ক্যাম্পে নেই।

৬ বছরের মায়া কাটিয়ে যে মুহূর্তে সুয়ারেজ ন্যু ক্যাম্প ত্যাগ করছিলেন, তখন তিনি ছিলেন অশ্রুসিক্ত। চোখের পানি মুছতে মুছতে বার্সেলোনা ত্যাগ করেন। কিন্তু রয়ে গেলেন লা লিগাতেই। যোগ দিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে।

বার্সেলোনা থেকে এক প্রকার তাড়িয়েই দেয়া হয়েছিল সুয়ারেজকে। সেই সুয়ারেজ অ্যাটলেটিকোয় যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমেই উপহার দিচ্ছেন লা লিগা শিরোপা। লা লিগায় অ্যাটলেটিকোর হয়ে মাঠে নেমে তিনি ৩১ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল। মূলতঃ সুয়ারেজের দুর্দান্ত নৈপূণ্যের কারণেই এবারের শিরোপা জিততে যাচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

অথচ, এই সুয়ারেজই যদি বার্সায় থাকতেন, তাহলে পরিস্থিতিটা কী হতে পারতো? ৩৫ ম্যাচে লিওনেল মেসি করেছেন ৩০ গোল। তার সঙ্গে সুয়ারেজের ২০ গোল যোগ হলে হতো ৫০ গোল। তাহলে আরও কয়টি ম্যাচ জিততে পারতো বার্সেলোনা? অথচ, ঘরের মাঠে সেল্টা ভিগোর মত দলের কাছেই হারতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে। যে ম্যাচে হেরে, কার্যত শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় লিওনেল মেসিদের।

Related posts

সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অ্যাথলেট রোনালদো, তার পরেই মেসি

News Desk

গার্দিওলা বা আনচেলত্তিকে নেইমারদের কোচ হিসেবে দেখতে চান কিংবদন্তি রোনালদো

News Desk

ওয়াসিম আইসিসি ম্যাসেরা অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী

News Desk

Leave a Comment