Image default
খেলা

পেসারদের সংগ্রামের দিনে দুর্দান্ত মিরাজ

ডারবানের কিংসমিডে লাঞ্চে যাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিনা উইকেটে তুলেছিল ৯৫ রান। ডিন এলগার, সারেল এরউই যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, তখনই টিভি পর্দায় ধরা পড়ে অ্যালান ডোনাল্ডের মুখ। দিনের প্রথম সেশনে উইকেটশূন্য বাংলাদেশ দল।

স্বাভাবিকভাবেই পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের চোখে-মুখে হতাশার ছবি। এই সিরিজেই টাইগারদের বোলিং কোচ নিযুক্ত হয়েছেন। চিরচেনা ঘরের মাঠে টাইগারদের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের মিশনে অংশীদার ছিলেন ডোনাল্ড। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের শুরুতেই শিষ্যদের বিবর্ণ বোলিংয়ে কোচের বিচলিত হওয়ারই কথা।

তবে গতকাল দ্বিতীয় সেশনে উইকেটের দেখা পেলেও দিনভর লাইন-লেন্থ খুঁজে পেতে সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশের তিন পেসার। আলগা বোলিংয়ে বাউন্ডারি হজম করেছেন অনেক। একাদশে থাকা তিন পেসারের বোলিং প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি।

ফিল্ডিং করা টাইগারদের চাঙ্গা করার কৃতিত্ব পাবেন মিরাজ। পেসারদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোলিং করেছেন। সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিং করেছেন। উইকেট নিয়েছেন এবং অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রানআউট করেছেন কিগান পিটারসেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডেতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল মিরাজের। ধীরে ধীরে ‘টিমম্যান’ হয়ে ওঠা এই স্পিনিং অলরাউন্ডার অবদান রাখছেন সর্বত্র। সম্প্রতি ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারেও রান পাচ্ছেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ডারবানে ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলছেন তিনি। বাংলাদেশের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুমিনুল।

অবশ্য দিনের প্রথম সেশনে লিটন দাস ক্যাচ না ফেললে উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। মিরাজের ওভারে লাঞ্চে যাওয়ার দুই বল আগে এরউইয়ের ক্যাচ ফেলেছেন কিপার লিটন। লাঞ্চের পর মাত্র ৬ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট পায় সফরকারীরা। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে খালেদ ব্রেক থ্রু এনে দেন। শরীফুলের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ডানহাতি এই পেসার প্রথম সেশনে এলোমেলো বোলিং করলেও এলগারকে করা বলটা ছিল দুর্দান্ত। বাড়তি বাউন্স পাওয়া বলে লিটনের কাছে ক্যাচ দেন ৬৭ রান করা এলগার।

ইনিংসের ৩৫তম ওভারে এরউইকে বোল্ড করেছেন মিরাজ। তিনি ৪১ রান করেন। পরে দুরন্ত এক থ্রোয়ে কিগান পিটারসেনকে রানআউট করেছেন মিরাজ। তাসকিনের বলে পিটারসেনের শটটা পয়েন্টে ঝাঁপিয়ে পড়ে থামিয়েছেন তিনি। উঠে বসা অবস্হায় সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। রানআউট হয়ে হতবাক পিটারসেন ফিরেছেন ১৯ রান করে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত উইকেটের দেখা পেয়েছেন চা-বিরতির পর। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডঅনে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন রিকেলটন (২১)। দিন শেষে দক্ষিণআফ্রিকার সংগ্রহ চার উইকেটে ২৩৩ রান। বাভুমা ৫৩ ও ভেরাইনা ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।

 

Source link

Related posts

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের নজর কেড়েছিলেন জয়সওয়াল

News Desk

ইয়াঙ্কিজ আউটফিল্ডার গেরিট কোল ক্লার্ক শ্মিটের পিছনে একজন “বিশাল অনুপ্রেরণামূলক ফ্যাক্টর”

News Desk

এখানে ডলফিন বনাম কিভাবে দেখতে হয়. জেট বিনামূল্যে লাইভ: সময়, প্রবাহ

News Desk

Leave a Comment