মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। গতকাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। তবে এই জয় বাংলার নারী ফুটবলারদের স্বস্তি দিচ্ছে না। কারণ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল দুটি দল। তুর্কমেনিস্তান ও ইরান। প্রথম ম্যাচে ইরানের কাছে ৭-১ গোলে হেরেছে তুর্কমেনিস্তান। আর গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ৪-০ গোলে। হাফ টাইমে স্কোর ছিল ১-০। দ্বিতীয়ার্ধে ৩ গোল করেন বাংলার ফুটবলাররা।
তুর্কমেনিস্তান দুটি হেরে বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশী ফুটবলাররা যারা জয়ের সাথে স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন তারা আতঙ্কে ছিলেন। আগামীকাল ইরানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। গ্রুপ এইচ-এর বাংলাদেশ যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চায়, সোজা পথ জয়। ইরানকে পরাজিত করতে হবে। টাই হলেই বাদ পড়ে বাংলাদেশ। কারণ শক্তিশালী ইরান লক্ষ্য হারে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশের জয়ের একটাই পথ। ইরিন, আকলিমা, ইটি, আভিদা, সুরমা, গোলরক্ষক ক্যাপ্টেন রুবনা চাকমা, সোহাগী কিস্কোরা জয়ের আনন্দে শিবিরে ফিরলেও ইরানের কথা ভাবছেন তারা।
নারী ফুটবলে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইরান। গোল হার মাথায় থাকলেও তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশ প্রথম লক্ষ্য অর্জনে সময় নষ্ট করেছিল। অনেক সুযোগ পেলেও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৪৫ মিনিট পর গোলটি আসে এবং ইনজুরি টাইমে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আকালিমার। লক্ষ্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তুর্কমেনিস্তান আপত্তি জানিয়ে বলেছে এটি একটি হ্যান্ডবল। একপর্যায়ে তুর্কমেনিস্তানের কোচও মাঠে নামেন। কিন্তু সিরিয়ার রেফারি এলিসার তার সিদ্ধান্তে অনড়। গোল ফিরে জেতার জন্য মরিয়া তুর্কমেনিস্তান পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুবনা চাকমা এসে পেনাল্টি এলাকার সামনে তা বাধা দেন। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। ৭১তম মিনিটে আকলিমা হাতুন দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান ২-০ করে। চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে খেলার সময় এই ফরোয়ার্ড করেন ৩ গোল।
৮০তম মিনিটে ইতি খাতুনের ক্রস থেকে স্বপ্নার হেডার জালে লাগে ৩-০। দুই মিনিট পর, শাহিদাহ আখতারের স্ল্যাম ডাঙ্ক থেকে স্বপ্নার শট তুর্কমেনিস্তানের মিডফিল্ডার মামেদোভা মালিকার পিছন থেকে ৪-০ গোলে শেষ করে।