মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন টাইমের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে উঠে এসেছেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি কঠিন সময়ে দেশকে কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সে বিষয়ে টাইমের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন সিমন শুস্টার।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
‘হাউ জেলেনস্কি লিডস: ইনসাইড দ্য কম্পাউন্ড উইথ দ্য প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হিজ টিম’ শিরোনামে ওই প্রচ্ছদ করেছে টাইম। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কিছু দেশের সহায়তার প্রস্তাবের ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বোমাবর্ষণ তাকে যতটা বিরক্ত করেছে, ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের মনযোগ তাকে ঠিক ততটাই বিরক্ত করেছে।
তিনি বলেছেন, ‘লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে যুদ্ধ দেখেছেন। তারা যখন এটি দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, তখন তারা এটি এড়িয়ে চলছেন। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহের দিকে জেলেনস্কি সূর্যোদয়ের সময়ে জেনারেলদের কাছ থেকে প্রত্যেক দিনের হালনাগাদ রিপোর্ট চাইতেন। এমনকি তারও আগে যুদ্ধ সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইতেন তিনি।
পরবর্তীতে রিপোর্ট চাওয়ার এই সময় কয়েক ঘণ্টা পিছিয়ে দেন। সকালের নাস্তা সেরে নেওয়ার পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর রিপোর্ট সেনা জেনারেলদের কাছে রিপোর্ট চান জেলেনস্কি।
টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভে রুশ ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে নিজে গাড়ি চালিয়ে গোপনে প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসতেন জেলেনস্কি। জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার নেওয়া টাইমের প্রতিবেদক বলেছেন, দুই মাসের যুদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আরও বেশি দৃঢ়, ক্ষিপ্র এবং ঝুঁকি গ্রহণে আরও বেশি আগ্রহী করে তুলেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন তৃতীয় মাসে প্রবেশ করেছে। দেশটিতে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তেমন সাফল্য পায়নি। বরং ইউক্রেনের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়া।