মালিতে নয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের কয়েক সপ্তাহর মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল আসিমি গোইতা। এই মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণায়ের মতো কৌশলগত দপ্তরে সামরিক কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছেন।
কর্নেল সাদিও কামারাকে পুনরায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় টেলিভিশনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০২০ সালের আগস্টে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইটার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম ছিলেন কর্নেল সাদিও। প্রেসিডেন্ট কেইটাকে প্রত্যাহার করার পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন আসিমি গোইতা। মে মাসে আরেক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোক্তার উয়ানকে অপসারণ করা হয়।
গোইতা কর্তৃক ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভায় মোদিবো কোনিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কর্নেল দাউদ আলী মোহাম্মাদিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে, মোদিবো কোনি নামে একজনকে পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেইটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী জোট এম৫ আরএফপি। এই জোটের একজন মুখপাত্র যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট কেইটার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি একজন বেসামরিক লোক এবং তার সাথে কর্নেলের কোন সম্পর্ক নাই। আসিমি গোইতা পূর্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। কিন্তু সোমবারে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। চংগুয়েল কোকালা মাইগা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মালিতে গত মাসের অভ্যূত্থানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হৈ চৈ পড়ে যায়। কেইটাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত বছর ১৫ দেশের জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকা (ইকোওয়াস) মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। দেশটিতে মোতায়েন রয়েছে ফ্রান্সের কয়েক হাজার সেনা। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স দেশটির সঙ্গে থাকা এই সামরিক সহযোগিতা বাতিল করেছে। পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল ফ্রান্সের ৫,১০০ সৈন্য। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাকে কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।