বিনামূল্যে বার্গার দিতে রাজি না হওয়ায় পাকিস্তানের পুলিশ দেশটির একটি বার্গার চেইন শপের এক শাখার ১৯ কর্মচারীকে আটক করেছে। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে অভিযুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে জনি অ্যান্ড জুগনু চেইন শপের একটি দোকানে শনিবার রাতে হানা দেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ সময় তারা কর্মীদের কাছে ফ্রিতে বার্গার চান। কিন্তু চেইন শপের কর্মীরা রাজি না হওয়ায় প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে সেখানে তাদের আটকে রাখা হয়। ঘটনার শেষ এখানেই নয়, দোকানে বিক্রি বন্ধ করতে বাধ্য করে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফাস্ট ফুড চেইন জনি অ্যান্ড জুগনু বলেছে, রেস্তারাঁয় আমাদের কর্মীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। কিন্তু আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে এবারই শেষ। একজন হাই-প্রোফাইল অতিথির কাছে থেকে আসা ফ্রি বার্গারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। রেস্তারাঁর কর্মীরা ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, রেস্তারাঁর যে কর্মীদের আটক করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই তরুণ। বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এই ঘটনার বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে ফুড চেইন জনি অ্যান্ড জুগনুর ভক্তরা পুলিশের তীব্র সমালোচনা শুরু করে। পরে রোববার লাহোর পুলিশের ৯ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সদস্যদের বরখাস্তের তথ্য এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছেন প্রাদেশিক পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইনাম গনি।
তিনি বলেছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। ঘুষ এবং দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের পুলিশের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ প্রায়ই দেশটির গণমাধ্যমে উঠে আসে।