ভারতের কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, সভাপতি পদের নির্বাচনে সরকারি প্রার্থী কেউ নন, কাউকেই তাঁরা সমর্থন করতে বলবেন না। কিন্তু তবু এটা স্পষ্ট, মল্লিকার্জুন খাড়গেই হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের পছন্দের প্রার্থী। তাই ৮০ বছরের এই প্রবীণ কর্ণাটকির পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর দলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সিদ্ধান্ত মেনে খাড়গে শনিবার রাজ্যসভার বিরোধী নেতার পদে ইস্তফা দেন। পদত্যাগপত্র তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এখন দেখার বিষয় পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিং অথবা অন্য কেউ, কে হন বিরোধী নেতা। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি পদে ভোট গ্রহণ হবে।
শেষ মুহূর্তে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইটা হতে চলেছে খাড়গের সঙ্গে শশী থারুরের। কারণ, তৃতীয় প্রার্থী ঝাড়খন্ডের সাবেক মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠির মনোনয়নপত্র শনিবার বাতিল হয়ে গেছে। কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রী এসব কথা জানিয়ে বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হলে তা হবে দ্বিমুখী।
সেই লড়াই চিত্তাকর্ষক করে তুলতে চেষ্টার অন্ত রাখছেন না কেরালার সংসদ সদস্য শশী থারুর। শনিবারই তিনি রওনা হন নাগপুরে। মহারাষ্ট্রের এই শহর থেকেই তিনি শুরু করছেন তাঁর নির্বাচনী প্রচার। নাগপুরের দীক্ষাভূমি স্মৃতিসৌধে গিয়ে ভারতীয় সংবিধানের রূপকার বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি শুরু করছেন তাঁর প্রচারাভিযান। এই দীক্ষাভূমিতেই ১৯৫৬ সালে আম্বেদকর অনুগামীসহ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা আশিস দেশমুখ শনিবার জানান, থারুর রোববার ওয়ারধায় গান্ধীজির সেবাগ্রাম আশ্রমে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন পাভনার আচার্য বিনোবা ভাবের আশ্রমে। তারপর নাগপুর ফিরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলন করবেন। দেশমুখের দাবি, ১২ রাজ্যের প্রতিনিধিরা খোলাখুলি থারুরকে সমর্থন করবেন।