এক বছরেই রাজনীতি নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে কঙ্গনা রনৌতের। কয়েক দিন আগে জানিয়েছেন, বলিউডের মতো রাজনীতির ময়দানেও প্রতিদিন কঠিন সব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। রাজনীতি মোটেই উপভোগ করছেন না, বলেছেন এ কথাও। তবে কী ভেবে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন কঙ্গনা? অভিনেত্রী জানান, তিনি ভেবেছিলেন রাজনীতিতে অল্প সময় দিলেই হবে।
সংসদ সদস্য হওয়ার এক বছরেই রাজনীতি নিয়ে বিরক্ত কঙ্গনা। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন মান্ডির সাংসদ। রাজনীতিতে আসার পর তাঁর নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরছেন। এবার আরও এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি একেবারেই আশা করিনি এই কাজটা এত কঠিন হবে। যখন আমার কাছে সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব আসে, তখন আমাকে বলা হয়েছিল, বছরে মাত্র ৬০-৭০ দিন সংসদে উপস্থিত থাকলেই হবে। বাকি দিনগুলো নিজের কাজ করতে পারব। আমি সেটাই হবে বলে ধারণা করেছিলাম। আমি মোটেও বুঝতে পারিনি এটা এতটা চাপের কাজ।’
কঙ্গনা যে এলাকার সংসদ সদস্য, সেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে সম্প্রতি আকস্মিক বন্যা হয়েছে। ১৫ জনের বেশি নিহত, অনেকে নিখোঁজ, ভেসে গেছে বহু ঘর বাড়ি। দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও পানীয় সংকট। তবে এই দুর্যোগে সংসদ সদস্য হিসেবে তেমন কিছুই করেননি কঙ্গনা। তাঁর পদক্ষেপে খুশি নন স্থানীয়রা।
কঙ্গনা রনৌত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যে কথা বলেছেন কঙ্গনা, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হচ্ছে। কঙ্গনা বলেন, ‘আমার হাতে কোনো ফান্ড নেই। আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে যোগসূত্র, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যে প্রকল্প পৌঁছে দিতে এবং কেন্দ্রের কাছে আমাদের নির্বাচনী এলাকার সমস্যা ও অভিযোগ উত্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করি। আমার কোনো মন্ত্রিসভা বা আমলাতন্ত্র নেই, কেবল ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পারি এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি।’
এ মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন কঙ্গনা। হিমাচল প্রদেশের রাজস্ব ও উদ্যানপালন মন্ত্রী জগৎ সিং নেগি কঠোর ভাষায় কঙ্গনার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কঙ্গনা এলেন, আর কয়েকটি ছবি তুলে চলে গেলেন। জনগণ জানে কে আসলে কাজ করছে, আর কে শুধু ছবি তোলার জন্য আসছে।’
কঙ্গনাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এই মন্ত্রী বলেন, ‘কঙ্গনা রনৌত যদি তাঁর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে এতই অসন্তুষ্ট হন, তবে তাঁর উচিত অবলম্বে পদত্যাগ করা।’