এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা করার রেসে ফিনিশিং লাইন ছুঁয়েছে এখন জওয়ান। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের নিজের ঠিক আগের ছবি পাঠান বা সাড়া জাগানো বাহুবলী ২–এর চেয়েও কীভাবে এগিয়ে গেল জওয়ান, এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, সিনেমাটোগ্রাফি আর ব্যবসায়িক কৌশল ছাড়াও এ সাফল্যের পেছনে কিছু মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক কারণ রয়েছে।
পরিচালক অ্যাটলি আর মেগাস্টার শাহরুখ খানের এই রেকর্ড ভাঙা মুভি খোদ ভারতেই আজ ৬০০ কোটি রুপি আয় পেরিয়ে যাওয়ার কথা জানাচ্ছেন সেখানকার বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা। আর এর উদ্যাপনটিও বড় চমকপ্রদ হতে যাচ্ছে বলে শাহরুখের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে। এ পুরো সপ্তাহজুড়ে ভারতে একটি কিনলে একটি ফ্রি পাওয়া যাবে জওয়ান মুভির টিকিট।
জওয়ানের বাঁধভাঙা সাফল্যের জোয়ারে আমাদের দেশের দর্শকদেরও ভূমিকা রয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে এ ছবি নিয়ে এমন উন্মাদনার রয়েছে কিছু বিশেষ কারণ।
বুদ্ধিদীপ্ত কায়দায় বার্তা দেওয়া
অ্যাকশন মুভি মানেই মোটা বুদ্ধির দর্শকদের জন্য একের পর এক মারামারির সিকোয়েন্স রাখা নয়। এ মূলমন্ত্রেই নির্মিত হয়েছে জওয়ান। এখানে কায়দা করে এমন সব সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে তা একঘেয়ে বক্তৃতার মতো না লাগে। আবার সবার মনের কথার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় অ্যাকশন মুভির দৃশ্যপট আরও উদ্দীপ্ত করেছে দর্শকদের। হাততালিও পেয়েছে সিনগুলো মুহুর্মুহু।
আইকনিক সব সংলাপ
শাহরুখের সংলাপ যুগ যুগ পার করেও একই রকম আবেদন রাখে ভক্তদের কাছে। আর জওয়ান মুভিতে এত শক্তিশালী ও বাস্তবধর্মী সব সংলাপ শোনা যায় বলিউড বাদশাহর মুখে, যে সবার মুখে মুখে ফিরছে তা। সামাজিক অসংগতি ও অন্যায়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি—এসব কিছু নিয়েই সাহসী সংলাপ রয়েছে এ মুভিতে।
রীতিমতো পয়সা উশুল বাণিজ্যিক মুভি জওয়ান
বাবা–ছেলের নাটকীয় গল্প, প্রতিশোধকামী শক্তিময়ী নারী চরিত্রসহ বেশ কিছু সিনেমাটিক ব্যাপার আছে জওয়ানের স্টোরিলাইনে। তবে হিরোর কাছে সবকিছুর সমাধান আছে, বাণিজ্যিক ছবির এই মূল বিষয়টি এখানে ঠিক রাখা হয়েছে। মানুষ হিরোকে হিরোর মতোই দেখতে চায়। যে হিরো সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি কিছু। আর এ জায়গাতেই সফল জওয়ান মুভি। এখানে শাহরুখ আগাগোড়া একজন নায়ক। যার প্রতিটি দৃশ্যে দর্শক তাঁর সঙ্গে হেসেছে, কেঁদেছে আর ক্রুদ্ধ হয়েছেন।