বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপি নেতার নির্দেশে বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির সময় জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামে শ্রমিক দলের এক কর্মীকে আটক করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের নামে চাঁদার বই নিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা তুলছিলেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এরপর চাঁদা তোলার বইসহ তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন টিপু আমাকে চাঁদা তুলতে বলেছেন। তাই তুলেছি। আমি ছাড়াও আরও দুজন চাঁদা তুলেছেন।’
আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সোহাগ মিয়া বলেন, ‘জাহাঙ্গীর শ্রমিক দলের নামে চাঁদাবাজি করছে খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দেয়। রুহুল আমিন টিপুর কথামতো চাঁদা তুলেছিল জাহাঙ্গীর। তবে শ্রমিক দল চাঁদাবাজি করে না। আমাদের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ চাঁদা দাবি করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।’
আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি। তবে রুহুল আমিন টিপু জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে শ্রমিক দলের নাম ভাঙিয়ে বই ছাপিয়ে চাঁদা তুলেছিল। তাৎক্ষণিক জাহাঙ্গীরকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দিয়েছি। আমাদের নামে যদি কোথাও কেউ চাঁদা তোলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের হাতে তুলে দেবো আমরা।’
তবে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন টিপু। তিনি বলেন, ‘চাঁদা আদায়ের বইটিতে আমার নাম লেখা। অথচ বিষয়টি আমি জানি না। আমি এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চাই। আমার স্বাক্ষর ব্যতীত এই জাতীয় কোনও কাগজ বৈধ হতে পারে না। যে কেউ চাইলে এরকম কাগজ ছাপাতে পারে। নাম লিখে কী কেউ চাঁদা আদায় করে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বলেন, ‘চাঁদাবাজির সংবাদ পেয়ে স্থানীয় জনতার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই আমরা। চাঁদা আদায়ের ঘটনায় জাহাঙ্গীর, মো. রুহুল আমিন টিপু ও মো. ইসমাইলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।’