Image default
বাংলাদেশ

কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকছে পোশাক কারখানা

আগামীকাল সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে শিল্পকারখানা, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজার খোলা থাকবে। আর বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। তবে কঠোর লকডাউন শুরু হলেও রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। একই সময়ে রফতানি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং সেবাও চালু থাকবে। তবে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কী হবে, তা রোববার (২৭ জুন) নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শনিবার (২৬ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনলাইন মাধ্যমে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, তৈরি পোশাক-শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাক-শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পোশাক কারখানা খোলা রাখার পক্ষে মতামত দেন মালিকপক্ষ। তারা বলেন, এই মুহূর্তে কারখানাগুলোতে অনেক অর্ডার রয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণও নেয়া আছে। কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, এতে ব্যাংক টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসে (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও সম্ভব হবে না।

পোশাক মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র একাধিক সদস্য মনে করেন, তৈরি পোশাক কারখানা লকডাউনে বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবে, যেটা এর আগেও হয়েছিল। এমনটা হলে শহর ও গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে করোনার নতুন ধরন। আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাবে, প্রাণহানির শঙ্কাও বাড়বে। গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকলে কারখানা সংলগ্ন এলাকার শ্রমিক ও নিজস্ব পরিবহনে কর্মীদের এনে উৎপাদন চলবে। এতে সবাই নিরাপদে থাকবেন আবার উৎপাদনও চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা কারখানা চালু রাখার যৌক্তিক কারণগুলো সরকারকে অবগত করেছিলাম। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের যৌক্তিক কথার বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে শিল্প উৎপাদন হবে, রফতানি আয় আসবে। আবার শ্রমিকেরা নিরাপদে থাকবেন। প্রয়োজনে আমরা তাদের পরিবহনের মাধ্যমে কারখানায় আনব। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এ মুহূর্তে কারখানা বন্ধ করা হলে শিপমেন্ট হতো না, অর্ডারের পণ্য রফতানি আটকে গেলে বেতন-বোনাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হতো। তাছাড়া ঈদ বোনাসের সঙ্গে আগামী মাসের অর্ধেক বেতনও সমন্বয় করে শ্রমিকের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হতো না।

Related posts

‘নির্বাচনে যে হারবে সে উন্নয়নে কাজ করবে না এটা ঠিক নয়’

News Desk

মাছ আর মিষ্টিতে ভরপুর ছিল ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা

News Desk

মণিরামপুরের যুবক ঝিকরগাছায় খুন

News Desk

Leave a Comment