ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখী হচ্ছে হাজারো মানুষ। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছেন বিশেষ কায়দায়। সেজন্য গুনতে হচ্ছে তিনগুণ বেশি ভাড়া। তারপরেও তারা বলেছেন- বাড়ি যেতে পেরে স্বস্তি মিলেছে।

গণপরিবহন না থাকলেও ঘরে ফেরা মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন পাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রতিটা এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাড়া গুনতে হচ্ছে তিনগুণ বেশি। কুমিল্লা যেতে সাধারণ সময়ের ২০০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা। ফেনী যেতে ৩০০ টাকার ভাড়া দিতে হচ্ছে ১২০০ টাকা। নোয়াখালী যেতে ৭০০ টাকার ভাড়া আজ ২ হাজার টাকা। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ভাড়াও গুনতে হচ্ছে তিনগুণ বেশি।

কুমিল্লা যাওয়া এক যাত্রী শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাসা মিরপুর। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় যাব। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকারে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু প্রাইভেটকারে ভাড়া তিন গুণ বেশি। কুমিল্লার রেগুলার ভাড়া ২০০ টাকা। কিন্তু এখন যেতে হচ্ছে ৬০০ টাকায়। কী করব পরিবার নিয়ে ঈদ করতে হবে। তাই বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। তারপরেও বাড়িতে যেতে পারছি এটাই স্বস্তি।

ঈদে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী যাওয়া আবদুর রশিদের সঙ্গে কথা হয় সায়েদাবাদ স্ট্যান্ডে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকারে করে বাড়িতে যাওয়া যায় শুনেছি। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি একজন লোক নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে যাওয়ার যাত্রী ডাকছেন। জিজ্ঞেস করলাম ভাড়া কত? বলল, ১৫০০ টাকা। কিন্তু ভাড়াটা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।’

Related posts

বৃষ্টির পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

News Desk

একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতির জন্ম হয়: কাজী নাবিল

News Desk

স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, অটোপাস সব জায়গায়!

News Desk

Leave a Comment