ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে চলে গেছে। একটানা মাঝারি ও ভারী বর্ষণে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সড়কে যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে ঘরে ফিরতে রাতেও যানজটে নাকাল হয়েছেন অনেকেই। রাজধানীর কোথাও কোথাও নিচু এলাকার বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেক ভবনের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক পান্থপথ সিগন্যাল থেকে গ্রিন রোডমুখী সড়কের পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন কেউ কেউ। গ্রিন রোডসংলগ্ন পুরোনো গ্যাস্ট্রোলিভার গলিতে কোথাও কোমর, কোথাও–বা তার চেয়ে বেশি পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে বাসায় ঢুকতে হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকায় অধিকাংশ বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিচতলার বাসিন্দারা। পরিবার–পরিজন নিয়ে অনেকেই খাটের ওপরে বসে সময় কাটিয়েছেন। জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কিছু কিছু ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগও বিচ্ছিন্ন রেখেছেন ভবনমালিকেরা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানপাটেও পানি ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এর মধ্যেই বেচাকেনা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়কে কোমরপানি
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেন, গাবতলী ও মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার স্লুইসগেটগুলো হয়ে রাজধানীর বৃষ্টির পানি নামার কথা। নগরের পানি যেভাবে নেমে যাওয়ার কথা, সেভাবে নামতে পারছে না। ফলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশনের অনেকগুলো টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে।