Image default
প্রযুক্তি

ভারতীয় স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন

ভারতে এখন ২টি ভ্যাকসিন চালু রয়েছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। আর এই দুটি ভ্যাকসিনই করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। মঙ্গলবার এক বর্ষীয়ান বিজ্ঞানী এই দাবী করেছেন। তিনি বলেছেন, এই দুটি টিকা নেওয়ার পরে ভারতীয় স্ট্রেন খুব অল্প মাত্রায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি (IGIB) বিভাগের ডিরেক্টর অনুরাগ আগারওয়াল বলেছেন, SARS-CoV-2 এর B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে কাবু করতে পারে ভ্য়াকসিন। ভ্যাকসিন নিলে সংক্রমণ হয় খুব অল্প। B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে ‘ডাবল মিউট্যানেট’ বা ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রেন’-ও বলা হচ্ছে। আগারওয়াল টুইট করে জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন ও কেভিশিল্ড নেওয়ার পর B.1.617 মানুষের দেহে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে না। ভ্যাকসিনেশনের পর সংক্রমণ অল্প হয়। সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্পর্কে আরও ভাল বোঝার জন্য যখন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে তখন এই তথ্য যথেষ্ট ইতিবাচক। ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি হল কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (CSIR) অধীন।

এছাড়া এরই অধীনস্ত হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (CCMB) জানিয়েছে, ইন-ভিট্রো নিউট্রালাইজেশন পরীক্ষা দেখিয়েছে যে B.1.61 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কোভিশিল্ড। এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র বলেছেন, B.1.61 এর বিরুদ্ধে কোভিশিল্ডের ফলাফল খুব আশাবাদী। ইন-ভিট্রো নিউট্রালাইজেশন পরীক্ষায় প্রাথমিক ফলাফলগুলি দেখিয়েছে যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন B.1.61 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এই ভ্যারিয়েন্টের তিনটি নতুন স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মিউটেশন হল E484Q এবং L452R। অ্যান্টিবডি বেসড পরীক্ষার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় মিউটেশনটি হল P681R । এটি ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। B.1.617 মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের ঝড় বইয়ে দিয়েছে।

Related posts

গ্রহাণু ‘বেনু’-তে খোঁড়াখুঁড়ির ছাপ

News Desk

Samsung Galaxy M42 হবে কোম্পানির সবচেয়ে সস্তা 5G ফোনগুলির একটি, আসছে চলতি মাসেই

News Desk

অ্যাপলের সফটওয়্যারে যেসব নতুন আপডেট আসছে

News Desk

Leave a Comment