Image default
প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও পরিবেশ এলিয়েনরা বন্ধুসুলভ নাকি ভয়ংকর?

ভিনগ্রহীরা কেমন, তা নিয়ে পৃথিবীর মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বহির্জগতের প্রাণীরা মেধার দিকে থেকে আরও উন্নত? নাকি তারা পৃথিবীবাসীর মতোই সাদামাটা, বন্ধুবৎসল? না তাদের চরিত্র ঠিক উলটো অর্থাৎ হিংস্র, ক্ষতিকর? প্রশ্ন অনেক। তবে উত্তর অজানা। আর সেই অজানার অনুসন্ধানে সদা মগ্ন অনেকেই। কখনও কল্পবিজ্ঞানের কাহিনিতে, কখনও বা অন্য কোনও উৎস থেকে এই উত্তর জানতে চান আগ্রহীরা। এই উৎসাহের মাঝেই বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের লেখক, জাপানের (Japan) মিচিও এলিয়েনদের নিয়ে নয়া ধারণা দিলেন। তাঁর মতে, ভিনগ্রহীরা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে তেমন পরিস্থিতিতে ভয়ংকরও হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তা মানবজাতির পক্ষে বেশ ক্ষতিকর।

এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের সংযোগ স্থাপন হলে তা কেমন হতে পারে? বিখ্যাত তাত্বিক তথা কল্পবিজ্ঞানের লেখক মিচিওর সামনে এই প্রশ্নই রেখেছিলেন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক। তার উত্তরেই মিচিওর বক্তব্য, আজকের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যে গতিতে এগিয়ে গিয়েছে, তাতে ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কোনও ব্যাপারই না। কিন্তু তারা যে ঠিক কেমন, তা বোঝা দুষ্কর। বন্ধুত্বপূর্ণও হতে পারে, আবার ভীষণ ক্ষতিকরও হতে পারে। কারণ, পৃথিবীর প্রতি ভিনগ্রহীদের একটা হিংস্রতা রয়েছে।

এত উন্নত ওয়েব টেলিস্কোপ আবিষ্কৃত হবে হাজার খানেক গ্রহ আমরা দেখতে পাব। তাতেই আমার আশা দ্রুতই ভিনগ্রহের জীবদের সঙ্গে দেখা হবে। আমার ধারণা, ওদের সভ্যতা অনেক উন্নত। তাই আমাদের ক্ষতিসাধন করলেও করতে পারে। ওই উন্নত সভ্যতার সঙ্গে আমরা পাল্লা দিতে পারব না। তবে আমার কয়েকজন বন্ধু মনে করে, ওরা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে চিরকাল।” কল্পবিজ্ঞানের জগতে মিচিও রীতিমতো নামী লেখক। বহু বছর ধরে এ নিয়ে তাঁর চর্চার জগত গড়ে উঠেছে। লেখক তাঁর রচনার মধ্যে সাধারণের জন্য স্বপ্নের বীজ বুনে দেন। সেখানে ফলে-ফুলে ভরে উঠবে গাছ, এমনই আশা থাকে। কিন্তু সেই সৃষ্টিশীল জগতের শরিক হয়ে কেন মিচিও এমন নিরাশাজনক ধারণা পোষণ করলেন? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তাঁরই অনুরাগী মহলে।

 

Related posts

ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের মামলা

News Desk

স্প্যামিংয়ের শিকার হচ্ছেন মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা

News Desk

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার

News Desk

Leave a Comment