ডার্ক ওয়েব নাম শুনেননি এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে। কিন্তু আসলেই ডার্ক ওয়েব কি? ডার্ক ওয়েব কি প্রচলিত ইন্টারনেটের থেকে আলাদা? ডার্ক ওয়েব কারা ব্যবহার করে? ডার্ক ওয়েব কেমন করে কাজ করে? এধরনের সকল ডার্ক ওয়েব রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব। আর পাশাপাশি ডার্ক ওয়েব নিয়ে সব ধরনের ভুল ধারণা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দূর করে দেব। তাই ডার্ক ওয়েব নিয়ে সব ধরনের বিশদ তথ্য জানতে চলুন শুরু করি।

সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটে যা সার্চ করতে পারে তাকে ওপেন ওয়েব বলে। মানে ধরুন ফেসবুক, ক্যোরা এগুলো ওপেন ওয়েব সাইট। মজার ব্যাপার হল ইন্টারনেটর মাত্র ১% এই ওপেন ওয়েব‌।

তবে আপনি যদি আপনার সেটিংস বদলে ফেলেন এবং আপনার প্রোফাইলকে সার্চ ইঞ্জিনের আওতায় বাইরে রাখেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইল ডীপ ওয়েবের আওতায় চলে আসবে। মানে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে যে তথ্য বা ওয়েবসাইট আপনি খুঁজে পাবেন না তাই ডীপ ওয়েবর আওতায় আসে। যেমন ধরুন আপনার ব্যাংক একাউন্টের তথ্য, আপনার ইমেইল গুলো এগুলো ডীপ ওয়েবে ফেলা যায়। এগুলো ইন্টারনেটেই আছে কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। কিন্তু এগুলো কোন ভাবেই বেআইনি নয়। অনেকে ডীপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব এক জিনিষ ভাবে কিন্তু দুটো আলাদা।

তাহলে ডার্ক ওয়েব কী?

ডার্ক ওয়েব হচ্ছে ইন্টারনেটের এক নিষিদ্ধ জগত । আপনি গুগলে সার্চ করলে যা যা পাবেন ডার্ক ওয়েবে তার চেয়ে বেশি তথ্য আছে! এখানে এমন সব ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনি নর্মালি এক্সেস করতেই পারবেন না! এখন বলতে পারেন তাহলে কেনো এটা আপনি নর্মালি এক্সেস করতে পারেন না! এর কারণ হচ্ছে এখানে অনেক অবৈধ কাজ হয় । আপনি জেনে অবাক হবেন যে এখানে কিছু ওয়েবসাইটে খুনের অর্ডার দেওয়া হয় , কারো কিছু হ্যাক করার অর্ডার দেওয়া হয় , অপেনলি ড্রাগ বিক্রি হয়! এছাড়া আরোও অনেক কিছুই হয়! এসব কিছু কোনো দেশের সিকিউরিটিকে দুর্বল করে দিবে! এখন আপনি এটাও বলতে পারেন যে এসব ওয়েবসাইট কেনো ব্যান করা হয় না! সত্যি বলতে পুরো ডার্ক ওয়েবটাই ধরতে গেলে হিডেন! আর ডার্ক ওয়েবের যে ওয়েবসাইটগুলো আছে সেগুলোর নামও নর্মাল নামের মতো না! এসব ওয়েবসাইটের নাম আপনি মনে রাখতে পারবেন না! আর এটা ইউজ করতে গেলে অনেক কিছু জানতে হয়! এসব ওয়েবসাইটে এক্সেস করতে হলে আপনাকে টর ব্রাউজার ইউজার হতে হবে! এটা এমনই এক ব্রাউজার যেটা প্রতিনিয়ত আপনার আসল এড্রেস লুকিয়ে ফেলে! ফলে আপনার লোকেশন ট্র্যাক করাটা খুবই ঝামেলার কাজ! আর এই এনক্রিপশন ম্যাথড কাজে লাগিয়েই ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে হয় যেটা আমাদের তথাকথিত নর্মাল ব্রাউজার পারে না!

আপনারা হয়েতো Tor এর নাম শুনেছেন। এটার দ্বারা আপনি আপনার পরিচয় গোপন করে ইন্টারনেটে বিচরণ করতে পারবেন। এই টর মার্কিন নৌবাহিনী তৈরী করেছিল। এটা তারা তৈরী করেছিল কারণ যুদ্ধের সময় সামরিক তথ্য আদান প্রদানের সব পন্থা নষ্ট হয়ে গেলে তারা সাধারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাতে সুরক্ষিত ভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

এবার Tor Hidden Services ব্যবহার করে আপনি গোপন ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন। সাধারণ ওয়েব সাইটের শেষে যেমন .com, .org, .in, .us থাকে সেরকম এই গোপন ওয়েবসাইট গুলোর শেষে .onion থাকে। টরের আরাক নাম আনিয়ান রাউটার কারণ এখানে একজনের পরিচয় পেঁয়াজের খোসার মতো একের পর এক লেয়ারের পিছনে লুকানো।

টর নেটওয়ার্কে বিভিন্ন কম্পিউটার আছে যারা আপনার হয়ে ওয়েব সাইট রিকোয়েস্ট করে। এই রিকোয়েস্ট বিভিন্ন কম্পিউটারে রিলে হয়ে এবং সার্ভার ভাবে এটা অন্য জায়গা থেকে আসছে।

তো এই গুপ্ত ওয়েবসাইট গুলো কেবল মাত্র টর ব্যবহার করে খোলা যায় এবং যদি আপনি ওয়েবসাইটের নাম না জানেন সে ক্ষেত্রে টর ব্যবহার করেও এই ওয়েবসাইট আপনি খুলতে পারবেন না। এই কারণে অসামাজিক ব্যক্তিরা গুপ্ত ওয়েবসাইট খুলে তাতে অনৈতিক এবং অসামাজিক কাজ করে যেমন ড্রাগ বেচা, বন্দুক বেচা, মানুষ বেচা এরকম হরেক রকম বস্তু বেচা যা সাধারণ ভাবে বেআইনি। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো ডার্ক ওয়েবের আওতায় আসে।

বেচা কেনা ছাড়াও জঙ্গি এবং উগ্রপন্থীরা ফেসবুকের মত ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে তথ্য আদান প্রদান করে। হামলা বা নাশকতার ছক বানায়। এগুলোও ডার্ক ওয়েবের আওতায় আসে।

তবে টরের অনেক ভালো ব্যবহার আছে। চিন, ইরানের মতো দেশে ইন্টারনেট কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে অনেকে টর ব্যবহার করে। জার্নালিস্টরা তাদের সোর্সের সঙ্গে সুরক্ষিত ভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে ব্যবহার করে টর।

তার মানে ইন্টারনেটে যে সব সাইটগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এবং তা ব্যবহার করা হয় অনৈতিক কাজকর্ম করতে সেগুলোকে ডার্ক ওয়েব বলে।

এটার দ্বারা আপনি আপনার পরিচয় গোপন করে ইন্টারনেটে বিচরণ করতে পারবেন। এই টর মার্কিন নৌবাহিনী তৈরী করেছিল। এটা তারা তৈরী করেছিল কারণ যুদ্ধের সময় সামরিক তথ্য আদান প্রদানের সব পন্থা নষ্ট হয়ে গেলে তারা সাধারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাতে সুরক্ষিত ভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

ডার্ক ওয়েব কি কাজে লাগে?

মূলত প্রধান ৩ টি কারণে মানুষ ডার্ক ওয়েব ভিজিট করে

১। এনিনোমাস বা নিজেকে গোপন রাখতে : নিজেকে গোপন রাখার অনেক কারণ ই মানুষের থাকে। অনেকে নিজেকে বিপদ থেকে বাচাতে গোপন রাখে যেমন কোন কোন দেশে যদি আপনি নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কথা বলতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নিজেকে গোপন রেখে কথা বলতে পারেন। এছাড়া অনেক কারণেই মানুষ নিজেকে গোপন রাখতে চাই এবং ডার্ক ওয়েব এই জন্য পারফেক্ট।

২। হিডেন সার্ভিস পেতে : হিডেন সার্ভিস বা অনেকে অনিওন সার্ভিস নামেও ডেকে থাকে, এরকম সার্ভিস গুলো আপনি ওপেন ওয়েবে খুঁজে পাবেন না সেক্ষেত্রে আপনাকে ডার্ক ওয়েবে যেতেই হবে। হিডেন সার্ভিস ওপেন ওয়েব এ না দিয়ে ডার্ক ওয়েবে দেয়ার কারণ হচ্ছে এখানে সাইট এর আইডেন্টিটি ও অনেক সিকিউর এবং আপনার আইডেন্টিটিও সিকিউর। তাই কেউ কারো আসল পরিচয় খুঁজে পাবেন না। ডার্ক ওয়েব নিজে কোন হিডেন সার্ভিস না হলেও অনেক সাইট যেগুলো ডার্ক ওয়েবে হোস্ট করা সেগুলো হিডেন সার্ভিস।

৩। অবৈধ কাজের জন্য : এটা সঠিক যে ইতিবাচক বা ভালো কাজের জন্য খুব কমই ডার্ক ওয়েব ব্যবহৃত হয় বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেও অবৈধ কাজের জন্য ডার্ক ওয়েব বিখ্যাত। ড্রাগ সেল করা, খুনি ভাড়া করা, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, রেডরুম এধরনের সব কাজ ই আপনি ডার্ক ওয়েব এ এভেইলেভল দেখতে পাবেন।

ডার্ক ওয়েব কি বৈধ?

ডার্ক ওয়েবে ভিজিট করে আপনি যতক্ষণ না কোন অবৈধ কাজ করছেন তখন ডার্ক ওয়েব বৈধ। তবে আপনি যদি অপরাধ করেন এবং নিজেকে গোপন রাখতে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেন কিংবা কোন অবৈধ কাজ করতে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেন তাহলে সেটা অবশ্যই অবৈধ এবং অপরাধ।

ডার্ক ওয়েবের রিস্ক কি আছে?

ডার্ক ওয়েবে ভিজিট করতে গিয়ে কখনো যদি নিজের তথ্য বা আইডেন্টিটি প্রকাশ পেয়ে যায় অর্থাৎ আপনার আসল ইমেইল বা আইপি এড্রেস এরকম কিছু প্রকাশ পেয়ে গেলে আপনি আসলেই অনেক বড় বিপদে পড়ে যাবেন। সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট বা হ্যাকার দের অবাধ বিচরণ ডার্ক ওয়েবে সেক্ষেত্রে আপনার তথ্য দিয়ে তারা যা খুশি করতে পারে। তাই ডার্ক ওয়েবের রিস্ক প্রচুর।

সবচেয়ে বেশি রিস্ক যখন আপনি ডার্ক ওয়েব দিয়ে অবৈধ কোন সাইট যেমন পর্ন সাইট বা এরকম ধরনের কোন সাইটে ঢুকবেন। এসব ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি রিস্ক থাকে।

ডার্ক ওয়েবে কিভাবে ভিজিট করব?

এতক্ষণ যেহেতু পড়ে ফেলেছেন তাই ধারণা করছি ডার্ক ওয়েবের সম্বন্ধে আপনার ধারণা বেশ পাকাপোক্ত হয়েছে। এখন আপনি যদি মনস্থির করে থাকেন যে ডার্ক ওয়েবে ভিজিট করবেন তাহলে চলুন জার্নি শুরু করি। তবে একটা বিষয়ে সাবধান থাকবেন যে আপনার কোন রকম সমস্যা হলে আমি কিংবা বিশদ বা বিশদের সঙ্গে জড়িত কেউ ই সেই সমস্যার জন্য দায়ী থাকবেনা। পুরো দায়ভার আপনার নিজের।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমেই আপনার কিছু টুলস প্রয়োজন হবে যেগুলোর কথা আগেই বলেছি। তবুও চলুন একবার দেখে নেই ( নিচের স্টেপগুলো মোবাইল কিংবা কম্পিউটার সব ক্ষেত্রেই কাজ করবে )

প্রথমেই আপনার লাগবে একটা সিকিউর ভিপিএন। হাল আমলের Nord VPN টা ইন্সটল করে নিতে পারেন সেই সাথে যদি এর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন থাকে তাহলে বেশ ভালো হয়। যেটাই ইচ্ছা হয় সেই ভিপিএন ই ইন্সটল করে ফেলুন।

এরপরে লাগবে অনিওন ব্রাউজার যেমন Tor Browser, I2P ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অ্যান্ড্রোয়েড ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে লাগবে Orbot । পিসি হলে আমার সাজেশন Tor Browser ইন্সটল করে ফেলুন আর অ্যান্ড্রোয়েড হলে Orbot ।

ভিজিট করার জন্য লিংক। যেগুলো এই আর্টিকেলেই পেয়ে যাবেন। সব গুলো ইন্সটল হয়ে গেলে এখন আসল কাজ শুরু হবে। প্রথমত আমরা দুইতই পদ্ধতিতে ডার্ক ওয়েব ভিজিট করতে পারি।

১। Tor Over VPN

২। VPN Over Tor

আচ্ছা নাম দেখে কনফিউজিং লাগতে পারে তবে ব্যাপারটা সহজ চলুন ব্যাখ্যা করে দেখি।
১। Tor Over VPN : এটা খুব সিম্পল পদ্ধতি। এখানে প্রথমে আপনি VPN ইন্সটল করে ভিপিএন কানেক্ট করবেন এবং এর পরে আপনি Tor বা যে অনিওন ব্রাউজার ব্যবহার করছেন সেটা ইউজ করবেন। এক্ষেত্রে ভিপিএন এক্সট্রা লেয়ার হিসেবে কাজ করবে। আপনার প্রাইভেসির দিক টা দেখবে আপনার ভিপিএন এবং টর আপনাকে আপনার আইডেন্টিটি গোপন রাখতে সাহায্য করবে। এখন অবধি সবথেকে সিকিউর এবং সবথেকে পপুলার ডার্ক ওয়েব ভিজিটিং পদ্ধতি।
যখন আপনি টর ব্রাউজারে কোন সাইটে ঢুকতে যাবেন তখন সেই রিকুয়েস্ট প্রথমে যাবে ভিপিএন এর মধ্যে দিয়ে এবং আপনার সমস্ত জিও লোকেশন রিমুভ করে দেবে সেই সাথে আপনার আইপি এড্রেস স্পুফ করে দিবে এবং তারপরেই ঐ রিকুয়েস্ট টর এর কাছে যাবে। যেহেতু আগে থেকেই ভিপিএন আইপি স্পুফ করে দিচ্ছে তাই টর ব্রাউজার ও আপনার রিয়াল আইপি জানবে না যেটা আলাদা সিকিউরিটি দিচ্ছে।

সুবিধা :
১। মেটা ডেটা বা আইপি এড্রেস কোন কিছুই এই পদ্ধতিতে স্টোর হয়না।
২। পুরো ট্রাফিক এনক্রিপ্ট থাকে।
২। VPN Over Tor : এই সিস্টেম খুব একটা সিকিউর না তবে অনেকেই ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রথমেই আপনার রিকুয়েস্ট টর এ দিচ্ছেন এবং এর পড়ে সেই রিকুয়েস্ট ভিপিএন এ যাচ্ছে। যেহেতু প্রথমেই টর এ যাচ্ছে তাই আপনার ইন্টারনেট প্রোফাইডার বা ISP আপনার তথ্য থেকে বুঝতে পারবে যে আপনি ডার্ক ওয়েব ভিজিট করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে ISP আপনাকে ব্লক করে রাখতে পারে এবং আপনার তথ্যও চাইলে হাতিয়ে নিতে পারে।

সুবিধা :
১। যদি আপনি ভিপিএন সার্ভিস প্রোভাইডার কে বিশ্বাস না করেন বরং ISP কে বেশি বিশ্বাস করেন তাহলে এটা ভালো পদ্ধতি।
২। ব্লক টর নোড গুলো এক্সেস করা যায় অর্থাৎ ফাস্ট কাজ করে।
যেহেতু প্রথম পদ্ধতি সবথেকে বেশি পপুলার এবং সিকিউর তাই প্রথম পদ্ধতিতেই আমরা এগিয়ে যাবো। তাহলে ভিপিএন ইন্সটল করে নিয়ে টর ব্রাউজারে ঢুকে পড়ুন।
সত্যি বলতে আসলে আমরা এতক্ষণে সব কনফিগার শেষ করে ফেলেছি এখন আমরা ভিজিট করার জন্য রেডি। টর ব্রাউজার ওপেন করেই দেখতে পাবেন যে এটা আর ৫ টা ব্রাউজারের মতো একদম সিম্পল। আপনি শুধুমাত্র নিচের যেকোন লিংক কপি করে পেস্ট করলেই ভিজিট করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ ভিজিট করতে একটু টাইম লাগবে কারণ বেশ কয়েকধাপ এনক্রিপশন এর জন্য আপনার নেট স্পিড একটু কমে যায়।

প্রয়োজনীয় ডার্ক ওয়েব লিংক

১। The Hidden WiKi

এটি হচ্ছে আমাদের উইকিপিডিয়ার ডার্ক ওয়েব রূপ। এখানে গিয়ে উইকিপিডিয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন। নিচের অনিওন লিংক দিয়ে ভিজিট করতে পারেন।
onion link: http://zqktlwi4fecvo6ri.onion/

২। Torch
এটি হচ্ছে গুগলের ডার্ক ওয়েব ভার্সন। পুরো ডার্ক ওয়েব জগত ঘুরে বেড়াতে গেলে আপনার প্রথম প্রয়োজন হবে একটা ভালো সার্চ ইঞ্জিন এবং এটা সেই কাজ ই করবে।
onion link: http://xmh57jrzrnw6insl.onion/

৩। DuckDuckGo
আপনি যদি সার্ফেস ওয়েবের ডাক ডাক গো কে চিনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে ডার্ক ওয়েবেও আপনি পাচ্ছেন ডাক ডাক গো এর অফিসিয়াল ভার্সন। চাইলে আপনি নিচের লিংক থেকে ভিজিট করতে পারবেন এবং ইচ্ছামতো সার্চ করতে পারবেন
onion link: https://3g2upl4pq6kufc4m.onion/

৪। Daniel
আপনি যদি ডার্ক ওয়েবের জনপিয় লিংক গুলো একসঙ্গে ক্যাটেগরি আকারে পেতে চান তাহলে নিচের টর লিংক টা বেস্ট। এখানে বিভিন্ন ধরনের লিংক আপনি ক্যাটেগরি আকারে পেয়ে যাবে। নিজের ইচ্ছামতো চাইলেই সেগুলো ভিজিট করে দেখতে পারেন।
onion link: http://danielas3rtn54uwmofdo3x2bsdifr47huasnmbgqzfrec5ubupvtpid.onion/

ডার্ক ওয়েব ভিজিট করার সময় সতর্কতা

যত ভিপিএন কিংবা টর ব্রাউজার ই ব্যবহার করিনা কেন সত্যি বলতে রিস্ক আমাদের থেকেই যায়। আর এই রিস্ক এর জন্যই আমাদের অনেক সতর্কতা প্রয়োজন। যেমন
টর এর সিকিউরিটি সেটিং
যদিও টর এর ডিফল্ট সিকিউরিটি সিস্টেম বেশ ভালো এবং সেফ তবুও সাবধানের মাইর নেই তাই ব্রাউজারের আইকনে ক্লিক করে সিকিউরিটি সেটিং ওপেন করুন। এখন সেখান থেকে স্লাইডার ডান পেশে টেনে সিকিউরিটি বাড়িয়ে নিন। একদম সর্বোচ্চ করে নেয়াই উত্তম।
১। কখনোই আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করবেন না। কখনোই না।
২। মোটেও না জেনে কখনো কোন লিংকে ক্লিক করবেন না।
৩। আসল ইনফরমেশন দেয়ার কোন প্রয়োজন নাই। আপনি ইমেইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবসময় ডার্ক ওয়েবের ইমেইল ভার্সন ব্যবহার করবেন।
৪। এত সব সিকিউরিটি মেইন্টেন করেও যে আপনি ১০০% সেফ সেটা বলা যায় না। তাই কৌতূহল বশত ভিজিট করলেও কোন একশন যেমন কিছু কেনা বা বিক্রি করার চেষ্টা না করাই ভালো।

পরিশেষে

ডার্ক ওয়েব যেহেতু নিষিদ্ধ না এবং এর ভেতরে খারাপের পাশাপাশি ভালো ও আছে তাই আপনার কৌতহল কে একদম চাপা না দিয়ে সব সিকিউরিটি মেইনটেন করে ভিজিট করতে পারেন। এবং আশা করছি আপনার সেই আশা পূরণে আজকের এই আর্টিকেল যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। ডার্ক ওয়েব সম্বন্ধে আরো প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।

Related posts

ট্রাম্পের সোশাল মিডিয়া টুইটারের নকল

News Desk

তথ্য চুরির হাত থেকে রেহাই পাইনি জাকারবার্গও

News Desk

WhatsApp এর নতুন ফীচারে চ্যাট-টেক্সট গুলোর রং বদলাতে পারবেন ব্যাবহারকারীরা

News Desk

Leave a Comment