করোনা ভাইরাসের সঙ্গে স্নায়ুবিক বিরল সমস্যার যোগসূত্র পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা ২১ টি দেশের ৪৩ জন প্রাপ্ত বয়স্ক করোনা রোগীর ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অ্যাকিউট ট্রান্সভার্স মাইলিটিস (এটিএম) লক্ষণ। এটা হলো মেরুদণ্ডের একরকম প্রদাহ। এ থেকে মারাত্মক বেদনা অনুভূত হতে পারে। মানুষের প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে এবং ইন্দ্রিয়গত সমস্যায় ভুগতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সায়েন্স এলার্ট। এ পরীক্ষায় যেসব রোগীকে বাছাই করা হয় তার মধ্যে ছিলেন ২১ থেকে ৭৩ বছর বয়সীরা। এর বাইরে ছিল ৩টি শিশু, যাদের বয়স ৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।

এসব নিয়ে যেসব গবেষক গবেষণা করেছেন তাদের মতে, এটা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে। যেকোনো এক বছরে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে এটিএমে ভোটার মোটামুটি হার হলো ১.৩৪ থেকে ৪.৬ ভাগ। এই গবেষণার গবেষকরা লিখেছেন, করোনা রোগীদের মধ্যে আমরা অনাকাঙ্ঘিতভাবে অধিক হারে স্নায়ুবিক জটিলটা প্রত্যক্ষ করেছি। তারা আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত শতকরা ৬৮ ভাগ রোগীর দেহে এই বিষয়টি থাকে সুপ্ত অবস্থায়।

কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরবর্তীতে স্নায়ুবিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। করোনা সংক্রমণের সঙ্গে স্নায়ুবিক জটিলতার বিষয়টি নতুন এই গবেষণায় উঠে এসেছে। এই রোগটি বিবিধ স্নায়ুবিক সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন ব্রেনের মধ্যে দীর্ঘসময় ধোয়াশার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে কোয়াড্রিপ্লোজিয়া এবং প্যারাপ্লেজিয়া। আবার মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হওয়ার সঙ্গেও এর সম্পর্ক থাকতে পারে। পানামা’তে এমন একটি ঘটনা আবিষ্কার হওয়ার পর এই গবেষণা চালানো হয়।

Related posts

ভ্যাকসিনের খোঁজ দেবে ফেসবুক

News Desk

নতুন গ্রহ তৈরির ছবি শেয়ার করল নাসা

News Desk

আপনার এলাকা চার দশক আগে কেমন ছিল, জানাবে Google Earth এর Timelapse ফিচার

News Desk

Leave a Comment