চীনা মহাকাশ প্রকল্প ‘তিয়ানহে স্পেস স্টেশন’ এর জন্য পাঠানো একটি রকেটের ১০০ ফুট লম্বা মূল অভ্যন্তরীণ অংশের (কোর) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেছে। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে সেটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি পৃথিবীর যে কোথাও পড়তে পারে।

গার্ডিয়ান জানায়,লং মার্চ ৫-বি নামের রকেটটি হুনান থেকে গত ২৯ এপ্রিল এটি উৎপেক্ষণ করা হয়। রকেটটি সফল ভাবে তিয়ানহে স্পেস স্টেশনের মডিউলকে কক্ষপথে স্থাপন করতে পারলেও পরে সেটির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রাউন্ড স্টেশন। এখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেগে ছুটছে। কখনও ১৭০ আবার কখনও ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিচে নেমে আসছে এটি। তবে দিনে দিনে এটি আরও নামবে। আপাতত এর গতিপথের মধ্যে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, মাদ্রিদ, বেইজিং, দক্ষিণ চিলি, ওয়েলিংটন, নিউ জিল্যান্ডসহ আরও কিছু স্থান। এই চলার পথে সামান্য এদিক ওদিক হলেই এর ল্যান্ডিং স্পট বদলে যেতে পারে।

ঘুম হারাম হওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, চীনাদের গাফিলতির কারণেই গোটা দুনিয়া টেনশনে পড়ে গেছে। কারণ রকেটে টুকরোটি আছড়ে পড়া আর একটি মাঝারি আকারের উড়োজাহাজ আছড়ে পড়া একই কথা। যার টুকরো ছড়িয়ে পড়বে আশপাশের ১০০ মাইল পর্যন্ত!

আপাতত নিয়ন্ত্রণহীন রকেটটির গতিবেগ ও গতিপথ বিশ্লেষণ করে অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট সেন্টার অ্যাট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল জানালেন, ১০ মে এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। আর পৃথিবীর যেহেতু বেশিরভাগই সমুদ্র, তাই মহাসাগরে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এটা পরিসংখ্যান মাত্র। বস্তুত ৩০ মিটার লম্বা ও ২১ টন ওজনের রকেটের টুকরোটি পড়তে পারে যেকোনও স্থানে। সময় ঘনিয়ে এলে আরও নিখুঁতভাবে বলা যাবে এর আছড়ে পড়ার স্থান।

ম্যাকডোয়েল বললেন, ১০ টনের বেশি ওজনের কোনও কিছু অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আমরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে দিতে পারি না। সেখানে লং মার্চ ৫-বি এর ছুটে আসা টুকরোটির ওজন ২১ টন!

Related posts

বাজারে এল শাওমির প্রথম ফোল্ড স্মার্টফোন

News Desk

মহাবিশ্বের সবথেকে বড় রহস্য: ব্ল্যাকহোল! কতটুকু জানি?

News Desk

নেটফ্লিক্সে নতুন ফিচার

News Desk

Leave a Comment