মঙ্গলের বুকে হেলিকপ্টার ওড়ানোর আর বেশি দেরি নেই। এই রবিবার, ১১ এপ্রিলই শুভ কাজ সম্পন্ন করে ফেলবে নাসা। ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার উড়বে মঙ্গলের মাটি থেকে। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সমগ্র বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়েছে নাসা। একাধিক ইভেন্টও সেদিন স্থির করা হয়েছে।
মঙ্গলে ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার ওড়ানো লাইভ স্ট্রিমিং দেখানো হবে। নাসার টেলিভিশনে স্থানীয় সময় ১২ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৩টেয় শুরু হয় এই স্ট্রিমিং। নাসার টেলিভিশন ছাড়া নাসার অ্যাপ ও এজেন্সির ওয়েবসাইট থেকেও লাইভ দেখা যাবে। এছাড়া একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও দেখা যাবে এই লাইভ। সেগুলি হল জেপিএলের ইউটিউব ও ফেসবুক চ্যানেল। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের জেজেরো ক্রাটারে নামে নাসার রোভার পারসেভেব়্যান্স। রোভারের পেটের ভিতর ছিল হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। ৩১ দিন মঙ্গলের বুকে ঘুরে বেড়াবে এই হেলিকপ্টার। তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন জোগাবে রোভার পারসেভেব়্যান্স। ফ্লাইট অপারেশন, ছবি তোলা, পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বেস স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করার কাজগুলো করবে রোভার।
পৃথিবীর মাটির চেয়ে মঙ্গলের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে উড়ে যাওয়া পৃথিবীতে উড়ানের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। এর মাধ্যাকর্ষণ থাকলেও তা পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র ১ শতাংশ। পৃথিবীতে দিনের বেলা যতটা এনার্জি আসে মঙ্গলে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি প্রাপ্ত হয়। রাতে এর তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনও এর নিচেও নেমে যেতে পারে যা। যার ফলে সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক উপাদান ক্র্যাক করতে পারে। নাসার জেট প্রপিউলেশন ল্যাবরেটরির তরফে শনিবার টুইট করে জানানো হয়েছে, মার্স হেলিকপ্টার মঙ্গলের মাটিতে নেমে গিয়েছে। ২৯৩ মিলিয়ন মাইল যাত্রা করে নাসার পারসেভেব়্যান্স রোভার রবিবার তার পেট থেকে ৪ ইঞ্চি নিচে ড্রপ করে তার জার্নি শেষ করে। পরবর্তী মাইলস্টোন রাতে সারভাইভ করা। নাসার তরফে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে পারসেভের়্যান্স থেকে নামা হেলিকপ্টারটি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ইনজেনুইটি এতদিন পারসেভেব়্যান্সের পেটের ভিতর ছিল। তবে এবার সে নিজস্ব ব্যটারিতে সচল।