সাকিবকে নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ
খেলা

সাকিবকে নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের বিশ্বকাপযাত্রার অংশও ছিলেন না টি-২০ দলের নিয়মিত অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতিটাও তাকে ছাড়াই সম্পন্ন করেছে গোটা দল। শেষ মুহূর্তে তথা সিরিজ শুরুর আগের দিন গতকাল দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পেরেছেন সাকিব।

ভিসা ও ফ্লাইট জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে গতকাল ক্রাইস্টচার্চে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। প্রস্তুতি, অনুশীলন ছাড়াই হয়তো আজ মাঠে নেমে পড়বেন তিনি। ‘বাংলাওয়াশ’ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সম্প্রচার করবে।

ত্রিদেশীয় সিরিজটা মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই খেলবে তিনটি দল। বাংলাদেশের মূল চাওয়া শক্তিশালী দুই দলের বিরুদ্ধে খেলে বিশ্বকাপের জন্য সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া। টি-২০তে টাইগারদের পারফরম্যান্স নাজুক। তাই নিজেদের খেলায় উন্নতির চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে।



লম্বা বিমানভ্রমণের পর ক্রাইস্টচার্চে এলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারেন সাকিব। অধিনায়ক ফেরায় দলটা পরিপূর্ণ হয়েছে বলে জানান মেহেদী হাসান মিরাজ। গতকাল অনুশীলনের পর তিনি বলেছেন, ‘সাকিব ভাই আজকে (গতকাল) আমাদের সঙ্গে জয়েন করেছেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুবিধা। কারণ সবশেষ সিরিজে সাকিব ভাই ছিলেন না। এখন আমাদের পরিপূর্ণ দল হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে অনুশীলন করে মাঠে নামতে পারব।’

ওপেনিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ-সাব্বির রহমানের জুটি আরো সুযোগ পেতে পারে। বাংলাদেশ অবশ্য ফলাফলের চিন্তা না করে পারফরম্যান্সে উন্নতির দিকেই মনোযোগী। মিরাজ বলেছেন, ‘ফলাফল তো আমাদের হাতে নেই। আমরা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারি এবং ব্যক্তিগতভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।’

এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের তুলনায় বেশ এগিয়ে বাবর আজমের দল। পরিসংখ্যানও সেই সাক্ষী দিচ্ছে। অতীতে টি-২০তে দুই দল ১৫ ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তান জিতেছে ১৩ ম্যাচ, বাংলাদেশের জয় মাত্র২টি।

পাকিস্তান সম্প্রতি ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে সাত ম্যাচের সিরিজে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছে। শেষ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান শিবিরও আজ জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকবে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনের মূল অস্ত্র। তাদের মিডল অর্ডার বেশ দুর্বল। ইনজুরি  কাটিয়ে ফিট হতে পারলে পেস আক্রমণে শাহীন আফ্রিদির ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়া নাসিম শাহ হয়তো খেলতে পারবেন না।

Source link

Related posts

লেব্রন জেমস ফিরে এসেছেন। লুকা ডনসিকের অস্টিন রিভস-নেতৃত্বাধীন লেকারদের জন্য পরবর্তী কী?

News Desk

1983 এর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ দল, এনসি স্টেট বিচারককে বিচারককে আলাদা করেছেন

News Desk

আফগানের বিরুদ্ধে আনন্দ নাসুমে “বিশেষ”

News Desk

Leave a Comment