মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার, বছরের অধিকাংশ সময় গরম থাকে। কাতার ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পর থেকেই ইউরোপের দেশগুলো কাতারের গরম নিয়ে সমালোচনা করছিল। কাতার ফুটবল ফেডারেশন গত কয়েক বছর অক্লান্ত পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করে ভেন্যুগুলোকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করেছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ভেন্যু জসিম বিন হামাদ মাঠও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ পড়েছে কাতার সময় বিকেল ৩টায়। বিকেলে দোহার তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রির উপরে থাকলেও জামাল ভূঁইয়ারা ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে খেলবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির মাধ্যমে স্টেডিয়ামের তাপমাত্রা কম থাকবে।
করোনা প্রটোকলের জন্য কোনো দলই ম্যাচের ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। আফগানিস্তান অনুশীলন না করলেও তাদের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ ম্যাচ ভেন্যু থেকে গতকাল ঘুরে এসেছে। তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সেটি শেয়ারও করেছে। অত্যন্ত সুন্দর সুসজ্জিত স্টেডিয়াম। হামিদ বিন জসিম স্টেডিয়ামটি কাতারের শীর্ষ ক্লাব আল সাদের।
প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ম্যাচ ভেন্যু পরিদর্শন করলেও বাংলাদেশ পরিদর্শন করেনি। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট সূত্রে জানা গেছে, কোচ তার দল নিয়ে যেতে চাননি ভেন্যু দেখতে।
করোনার জন্য কাতার খুব কড়াকড়ি অবস্থানে এবার। টিম হোটেলে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাংলাদেশ, ভারত ও আফগানিস্তান একই হোটেলে থাকলেও প্রত্যেক দল বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। অনুশীলনে যাওয়ার সময়েও অনেক নিরাপত্তার মধ্যে জামালরা।
কাতারে সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা বেশ নিয়ম কানুনের মধ্যে রয়েছি। হোটেল থেকে অনুশীলন গ্রাউন্ড এর মধ্যেই রয়েছি। অনুশীলন মাঠে যাওয়ার সময় অনেক নিরাপত্তা দেয়া হয় আমাদের।’
ফিফা, এএফসি’র করোনা নির্দেশনার পাশাপাশি স্বাগতিক কাতারেরও করোনা নির্দেশিকা রয়েছে। এই তিন নির্দেশিকা মেনে চলতে হচ্ছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নেওয়া দলগুলোকে। কঠিন করোনা প্রটোকলের জন্য বাফুফের প্রতিনিধি আফগানিস্তানের কোচের সংবাদ সম্মেলনে থাকতে পারেনি।