প্রিমিয়র লিগে খেতাবের দাবিদার হিসেবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে বাকিদের। তবুও চলতি রাউন্ডে লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তাদের অপ্রত্যাশিত হার ব্যবধান কমানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল দ্বিতীয়স্থানে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। রবিবার টটেনহ্যামের ঘরের মাঠে সেই সুযোগ হাতছাড়া করল না সোল্কজায়েরের ছেলেরা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের নমুনা রাখল লাল ম্যাঞ্চেস্টার।
টটেনহ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে থাকা চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে ১১ পয়েন্টে নামিয়ে আনল তারা। তাও আবার এক ম্যাচ কম খেলে। লাস্ট ল্যাপে বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে খেতাব সিটির হাতে উঠছে জেনেও হাল ছাড়তে নারাজ সোল্কজায়ের অ্যান্ড কোং। টটেনহ্যামকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে ইংলিশ টপ ফ্লাইটে এখন টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত ম্যান ইউ। সামনে কেবল আর্সেনাল (২৭)।
শুক্রবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টারে গ্রানাডাকে ২-১ গোলে হারানো একাদশে এদিন জোড়া পরিবর্তন এনেছিলেন ম্যান ইউ কোচ। ৩৩ মিনিটে পল পোগবার থ্রু বল ধরে এডিনসন কাভানি ফিনিশ করলেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। যদিও সেই গোল বাতিল ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। গোলটির আক্রমণ তৈরি হওয়ার সময় ম্যাকটোমিনে বিপক্ষ ফুটবলারকে আঘাত করেছেন বলে দাবি রেফারির। যদিও সেটা গোল বাতিলের কারণ হিসেবে কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা বোধগম্য নয়।
উলটে ৪০ মিনিটে লুকাস মৌরার পাস থেকে গোল করে বিরতিতে স্পারসকে এগিয়ে দেন কোরিয়ান সন-হিউং মিন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পিছিয়ে পড়েও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার যে পরিচিতি লাল ম্যাঞ্চেস্টার তৈরি করেছে, সেই নামের প্রতি এদিন সুবিচার করে তারা। ৫৭ মিনিটে ফ্রেডের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে ম্যান ইউ। কাভানির শট লরিস রক্ষা করলেও প্রতিহত হওয়া বল জালে রাখেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। এরপর টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে দু’দলের গোলরক্ষকের বেশ কিছু দুরন্ত সেভ চোখে পড়ে।
কিন্তু ৭৯ মিনিটে পরিবর্ত গ্রিনউডের ক্রস থেকে কাভানির ডাইভিং হেডারের কোনও উত্তর ছিল না লরিসের কাছে। প্রথমার্ধের গোলটি বাতিল হওয়ার পর দর্শনীয় হেডারে দলকে এগিয়ে দেন ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার। এরপর সংযুক্তি সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বক্সের মধ্যে জোরালো ভলিতে লরিসকে আরেকবার পরাস্ত করেন গ্রিনউড। ৩-১ জিতে ৩১ ম্যাচে ম্যান ইউ’য়ের সংগ্রহে ৬৩ পয়েন্ট। সেখানে ৩২ ম্যাচে শীর্ষস্থানীয় সিটির ঝুলিতে ৭৪ পয়েন্ট।