করোনা মহামারির কারণে ক্রিকেটীয় সূচিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। বাতিল আর স্থগিত হয়ে গেছে অনেক টুর্নামেন্ট আর সিরিজ। বাদ পড়ার তালিকায় নাম উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। তবে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ঘরোয়া টুর্নামেন্টের যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে বিপিএলের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে।
সব ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসে হবে বিপিএলের এবারের আসর। কিন্তু এই সব ঠিক রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জে সবথেকে বেশি ভোগাচ্ছে- সুরক্ষা বলয়। বিপিএল হলে তাতে বিদেশি ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে করোনাভাইরাসের কারণে আইপিএলের মতো আসর স্থগিত হয়ে গেল, সেখানে বিপিএল আয়োজন নিয়ে কী ভাবনা বোর্ডের? বিসিবি অবশ্য আশাবাদী।
বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বিপিএল আয়োজনে। আজ মিরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের জালাল ইউনুস জানান, ‘অবশ্যই বড় সুযোগ। যদি এগুলো ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, এই মহামারি পরিস্থিতিতে এত বড় দলের বিরুদ্ধে সিরিজ আয়োজন করতে পারি, অবশ্যই উৎসাহ তো পাবেই।’
আগামী ৩১ মে থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঠে গড়াবে ঢাকা লিগের এবারের আসর। ১২টি দলের সুরক্ষা বলয় তৈরিতে বেশ সাবধানী বিসিবি। গতবছর বিপিএল হয়নি বটে, তবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে পাঁচ দলের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে আসবে বলে জানানলেন জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে, প্রথম শ্রেণির খেলা আছে, বিসিএল, বিপিএল আছে। এখানে যদি ভালোভাবে সুরক্ষা বলয় করতে পারি, এর আগে তো করেছি আমরা, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ করেছি। আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা তো আছেই। এর মধ্যে একটা দলও তৈরি হয়েছে তারা জানে এটা কীভাবে করতে হয়। অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ।’
সঙ্গে যোগ করেন জালাল ইউনুস, ‘যদি জানুয়ারিতে বিপিএল করি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটা যদি ছড়িয়ে যায়, জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর মধ্যে যদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আর কোভিড বেশি না ছড়ায়, আমাদের জন্য সামনের খেলাগুলো আয়োজন করতে আরও সুবিধা হবে।’