তার কোচিংয়ে আসলে কতটা উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশ দলের? দল হিসেবে কতটা গুছিয়ে উঠেছে টাইগাররা? হেড কোচ হিসেবে রাসেল ডোমিঙ্গো কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছেন? এ প্রশ্ন কম বেশি সবার মনেই ঘুরপাক খায়। বিশেষ করে টেস্টে টাইগারদের অবনমন পীড়া দেয় প্রতিটি ভক্ত ও সমর্থককে। সত্যি বলতে, টাইগারদের টেস্টের ভবিষ্যত নিয়েও অনেকে চিন্তিত। সে অর্থে উন্নতির ছোঁয়াও নেই তেমন।
তবে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি পেসাররা নজর কেড়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথম টেস্টের উইকেটটা ছিল ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। ব্যাটসম্যানদের ‘স্বর্গ’ বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। সেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক বড় সেঞ্চুরি করেছিলেন। তামিম ইকবাল, মুশফিকু রহীম আর লিটন দাসও হাফসেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন।তারপরও উইকেট শতভাগ ব্যাটিং সহায়ক থাকায় ব্যাটসম্যানদের অমন পারফরম্যান্সকে খুব বড় করে দেখা হয়নি। অনেক দিন পর বরং পেসারদের বোলিংটা যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে।
বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের বোলিংটা অনেকেরই নজর কেড়েছে। আশার কথা, হেড কোচ ডোমিঙ্গোও মনে করছেন বাংলাদেশের পেসাররা উন্নতি করেছেন। আর তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের আগে পেসারদের নিয়ে আশাবাদী কোচ। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘ সবসময়ই যেমনটা বলে এসেছি, পেসারদের উন্নতি নিয়ে আমি আসলে খুবই খুশি। তারা খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিছুটা সাফল্য তাদের প্রাপ্য। ফল সবসময় তাদের পক্ষে আসেনি।
হেড কোচের দাবি, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন পেসারদের সঙ্গে দারুণ কাজ করছেন। ডোমিঙ্গোর মূল্যায়ন, ‘তারা পরিশ্রম করতে পিছপা হয় না। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যার দিক দিয়ে তারা অনভিজ্ঞ হতে পারে, তবে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে।
পেসারদের উন্নতিতে সন্তুষ্ট ডোমিঙ্গোর ধারণা, শিগগিরই হয়তো পেসাররা টেস্ট ম্যাচ জেতাবে। তাই তো মুখে এমন আশাবাদী সংলাপ, ‘আমার মনে হয় গত ১৮ মাসে তাদের উন্নতি হয়েছে ব্যাপক। ফাস্ট বোলিং বোঝার ক্ষেত্রে, স্কিলসেটের ক্ষেত্রে, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে। আমার মনে হয় সেদিন খুব বেশিদূর নয়, যখন একজন ফাস্ট বোলার আমাদের টেস্ট ম্যাচ জেতাবে।