ছেলেদের পর মেয়েরা। মালদ্বীপকে পেলেই যেন গোল উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশ। বিকেলে কলম্বোতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের ফুটবলে এই সুখবর পাওয়ার ঘণ্টাখানেকের আরেকটি সুখবর উড়ে এলো নেপালের কাঠমুন্ডু থেকে। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করতে খেলতে থাকে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে মালদ্বীপের রক্ষনভাগকে কাপিয়ে দিতে থাকে সাবিনা-মারিয়ারা। টানা আক্রমণের ফল পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে ম্যাচের ৩২ মিনিট পর্যন্ত।
মালদ্বীপকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সেটির ব্যত্যয় হলোনা আজও, প্রায় মাঝমাঠ থেকে নেয়া বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের নেয়া দুরপাল্লার শট আটকানোর ক্ষমতা ছিলো না মালদ্বীপের গোলরক্ষককের। মালদ্বীপের জালে বল জড়িইয়েই উল্লাসে মেতে ওঠে সাবিনারা।
প্রথম গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই দু মিনিট পরই আবারও মালদ্বীপের জালে বল পাঠায় বাংলার মেয়েরা। মালদ্বীপের তিন-চারজন ডিফেন্ডার মিলেও আটকে রাখতে পারেননি মাসুদা পারভিনকে। প্রায় একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের জাল কাপিয়ে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন মাসুদা।
প্রথমার্ধ্বের শেষের দিকে আরও একবার পাদ-প্রদীপের আলোয় অধিয়াঙ্ক সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপের ডি-বক্সের লাইনের কাছ থেকে শট নেন মিডফিল্ডার মারিয়া মান্ডা। তার নেয়া শট কোনমতে আটকে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। তবে ফিরতি বলে সাবিনার শট আর থামাতে পারেননি তিনি। নিজের জোড়া গোলের সাথে দলকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন অধিনায়ক।
প্রথমার্ধ্বের মতো দ্বিতীয়ার্ধ্বেও মালদ্বীপকে কোনাঠাসা করে রাখে বাংলাদেশ। তবে এই অর্ধ্বে কাঙ্ক্ষিত গোলটিই আর পাওয়া হয়নি বাংলার মেয়েদের।ম্যাচের শেষদিকে এসে একটি গোল পেতে পেতেও পায়নি বাংলাদেশ। মালদ্বীপের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লা-সবুজের জার্সিধারীরা।