দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশে এসেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। করোনার কারণেই এতটা দীর্ঘ সময় পর দেশে ফেরা। এর মাঝে দুই সন্তানও হয়েছে। সবমিলিয়ে কেমন কাটছে দিনকাল, সেসব নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাকিবের নতুন অনলাইন বিজনেস প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্কের অফিস ঘুরে দেখেছেন শিশির। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয় সাকিবকে মিস করেন কি না? কারণ, খেলার কারণে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে প্রায় সারাবছরই ব্যস্ত থাকতে হয়। অন্যদিকে, তিন সন্তান নিয়ে শিশির এখন যুক্তরাষ্ট্রেই স্থায়ী হয়েছেন। সেখানকারই একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছে সাকিবের বড় মেয়ে আলাইনা।
উম্মে আহমেদ শিশির বলেন, ‘আমরাতো সবসময়ই মিস করি, প্রতিটি দিন, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মুহূর্ত। কারণ, বাচ্চাদের বার্থডে থাকে, কোনো স্পেশাল মুহূর্ত; যেখানে সে (সাকিব) থাকতে পারে না। বাচ্চাদের জন্য… বাকিরাতো বুঝে না। তবে এখন আমার বড় মেয়ে আলাইনা ভালো বুঝে, বাবাকে খুব মিস করে। আমাদের যেটা হয়েছে, আমরা মানিয়ে নিয়েছি। কারণ, আমাদের একটা টাইম যাচ্ছে, আমাদের মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। এখন শক্ত না হলে অনেক কিছুতেই পিছিয়ে পড়া লাগবে।’
খেলার জন্য সাকিব অনেক কঠোর পরিশ্রম করে জানিয়ে তার স্ত্রী বলেন, ‘ও অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছে আমি জানি। ও যখন মনে করে আমি এটা করবো, তখন সে এটা নিয়ে অনেক হার্ড ওয়ার্ক করে। এটা হয়তো অনেকে দেখে না। আমি যেটা দেখি যে, ও কীভাবে প্রস্তুতি নেয়। ও সবসময় একরকম থাকতে পছন্দ করে না। ওইটা নিয়ে অনেক হার্ড ওয়ার্ক করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্ত্রী হিসেবে আমি সবসময়ই গর্ববোধ করি। যখন ভালো খেলে তখন… এটাতো আর বলার ভাষা নেই। মাঝেমধ্যে আমরা কান্না করি, অনেকবেশি আবেগী হয়ে যাই। যখন খেলা শেষে ফোন দেয়, ওই জিনিসটা আসলে খুব স্পেশাল।’
সাকিবকে কোথায় দেখতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে শিশির বলেন, ‘আমি ওকে সবার ওপরে দেখতে চাই।’
সামনেই ভালোবাসা দিবস। বিয়েরও প্রায় এক দশক হতে চললো। নিজের মধ্যে সম্পর্কটা এখন কেমন? জবাবে সাকিবের স্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো কিছুই কমেনি। সত্যি কথা বলতে, আমাদের মধ্যে দেখা যায় যে, এত দূরে থাকা হয়; স্পেশালি ওর ক্ষেত্রে, আমাদের বন্ডিংটা আগের চেয়েও মজবুত হয়েছে। এত দূরে থাকার কারণে অনুভূতিগুলো আরও বেশি মজবুত। সময়গুলো আমরা খুব এনজয় করি। দিনশেষে আমরা দুজনই একসঙ্গে, যত যাইহোক।’
‘খেলা হোক বা বিজনেস, যত যাইহোক, যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা দুজন একসঙ্গেই নিতে পছন্দ করি। কোনো কিছু প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে আমাদের দুজনের কথার পর সিদ্ধান্তে আসতে হয়। যেটাই করি তা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই আমরা করি,’ যোগ করেন শিশির।