শোয়েব আকতার মানেই যেনও বিতর্ক। তিনি সন্দেহাতীত ভাবে ইতিহাস সেরা গতিশীল বোলার। সর্বপ্রথম ১০০ মাইল বেগে বল করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে পরিচিত এই ফাস্ট বোলার। তার দুর্দান্ত গতিতে পা কাপেনি এমন ব্যাটসম্যান বিরল। কিন্তু শোয়েবকে ক্রিকেট ইতিহাস কেবল গতি তারকা হিসেবে মনে রাখবে না। তাকে ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত তারকা হিসেবেও মনে রাখবে সবাই। এর মাঝে সতীর্থ আসিফকে পেটানোর ঘটনাটি অন্যতম আলোচিত ঘটনা। ড্রেসিং রুমে দ্বন্দের কথা শোনা গেলেও মারপিটের ঘটনা একেবারেই বিরল। আজকে আমরা সেই আলোচিত ঘটনার কথাই শুনবো।

২০০৭ সালে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছিলো। সব দলই নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিচ্ছিলো। হঠাৎই শোনা গেলো পাকিস্তানি পেস বোলার শোয়েব আখতার দেশে ফিরে আসছেন। ইনজুরির সাথে তার সখ্যতার অতীত ইতিহাস মনে রেখে সবাই প্রথমে ভেবেছিলেন আবারও বোধহয় ইনজুরিতে পরেছেন তিনি। কিন্তু পরে জানা যায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সেটিও তার জন্য নতুন ছিলো না। কিন্তু নতুন যেটা ছিলো তা হচ্ছে, শোয়েব এবার ডেসিংরুমে মারপিট করেছেন। ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছেন সতীর্থ পেস বোলার মোহাম্মদ আসিফকে। পুরো ঘটনার দায় অবশ্য শহীদ আফ্রিদির উপরে চাপিয়েছিলেন শোয়েব।

তিনি তার আত্মজীবনী “কন্ট্রভার্সালি ইয়োর্স” এ লিখেন, ” ‘আফ্রিদি পুরো ড্রেসিং রুমে বেশ বাড়াবাড়ি করছিলো আর আসিফ তাঁকে সমর্থন করছিল। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ব্যাট ঘুরাই আর আফ্রিদি সরে গেলে তা আসিফের পায়ে আঘাত করে। তবে আমি আমার কাজের জন্য লজ্জিত।’ তবে শহীদ আফ্রিদি তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আসিফ ও আমি তো হালকা মেজাজে কথা বলছিলাম। তবে শোয়েব ভেবেছিল ওকে নিয়ে মজা করছি। এরপর মেজাজ হারিয়ে ও আসিফকে লক্ষ্য করে ব্যাট চালিয়ে দেয়”। মোহাম্মদ আসিফও সমর্থন করেন আফ্রিদিকেই। তবে এই বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ আসিফ আর কথা বলতে চান না।

সম্প্রতি তিনি বলেন, ” শোয়েব আখতারের সাথে ড্রেসিং রুমের ঘটনাটা ২০০৭ সালের। যেটা ১৩ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। সে এটা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এখনো মন্তব্য করছে। আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছে, তাই আমি তাকে ডেকেছিলাম এবং বলেছি এই ব্যাপারে কথা বলা বন্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। আমি তাকে বলেছি যেটা হয়েছে ভুলে যাও, এটা এখন অতীত। প্রতিটা সাক্ষাৎকারে এটা নিয়ে কথা না বলে কিভাবে তরুন ক্রিকেটারদের সাহায্যে করা যায় সে ব্যাপারে বলতে বলেছি। সে সবসময়ই স্বপ্ন দেখে! কখনো স্বপ্ন দেখে প্রধান নির্বাচক হবে, কখনো স্বপ্ন দেখে প্রধান কোচ কিংবা পিসিবির চেয়ারম্যান হবে। তাকে এসব স্বপ্ন না দেখে বাস্তবে আসা উচিত হবে এবং ১৩ বছর আগের ঘটনা ভুলে তরুন ক্রিকেটারদের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’

মোহাম্মদ আসিফ কথা বলতে না চাইলেও ক্রীড়ামোদিদের কাছে বিষয়টি সবসময়ই কৌতুহলের। শোয়েব আকতারও যেনও ঘটনাটি ভুলতে পারেন না। এটি যে তার বিতর্কিত জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়। প্রতিদিন এমন মজার মজার গল্প জানতে সাবস্ক্রাইব করুন বাংলা ডায়েরি।

Related posts

NCAA মহিলাদের বাস্কেটবল ফাইনাল পাওয়ার র‍্যাঙ্কিং: টুর্নামেন্টে বাকি সেরা দল কে?

News Desk

NBA ফাইনালে Mavericks বার্থ তিনটি খেলায় বন্য বিনিয়োগের সাথে $99,000 বাজি জিতেছে

News Desk

বিল ওয়ালটনের সবচেয়ে স্মরণীয় সম্প্রচার মুহূর্ত: “সেলিব্রেশন”

News Desk

Leave a Comment