বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ক্রিকেটে দেখা মিলল রানোৎসবের। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে দুই দলই করল ২৩০ ছাড়ানো স্কোর। যেখানে রেকর্ড গড়ে ১৫ রানের জয় পেয়েছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। তবে ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে ইসলামাবাদের সঙ্গে নাম লিখিয়েছে পেশোয়ার জালমিও। ম্যাচে দুই দল মিলে ৪০ ওভারে করেছে ৪৭৯ রান। যেখানে সিংহভাগ অবদান রাখায় জয়ী দলের নাম ইসলামাবাদ। তাদের পক্ষে সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন উসমান খাজা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে উসমান খাজার ১০৫ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান করে ইসলামাবাদ। যা কি না পিএসএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডও ছিল তাদের দখলে। ২০১৯ সালের আসরে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে ২৩৮ রান করেছিল ইসলামাবাদ। যা তারা ছাড়িয়ে গেল বৃহস্পতিবার। পরে এ ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ২৩২ রানে থেমেছে পেশোয়ার, ম্যাচ হেরেছে ১৫ রানের ব্যবধানে।
বছর দুয়েক আগে যে ম্যাচে ২৩৮ রান করেছিল ইসলামাবাদ, সেই ম্যাচেই ১৮৯ রানে থেমেছিল লাহোর। দুই ইনিংস মিলে হয়েছিল ৪২৭ রান। পিএসএলে এক ম্যাচে এটিই ছিল সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড চলে এলো ইসলামাবাদ ও পেশোয়ার ম্যাচের দখলে। রেকর্ড গড়া এ ম্যাচের নায়ক উসমান খাজা অপরাজিত ইনিংসে করেছেন ৫৬ বলে ১০৫ রান। যেখানে ছিল ১৩ চার ও ৩ ছয়ের মার। পিএসএলে এটি দশম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির ঘটনা। খাজার সেঞ্চুরির পাশাপাশি কলিন মুনরো ২৮ বলে ৪৮, আসিফ আলি ১৪ বলে ৪৩ ও ব্রেন্ডন কিং ২২ বলে ৪৬ রানের সুবাদে ইসলামাবাদ পায় ২৪৭ রানের সংগ্রহ।
জবাবে কম যায়নি পেশোয়ারও। দলের অভিজ্ঞ তারকা শোয়েব মালিক খেলেন ৩৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস, ওপেনার কামরান আকমলের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৫৩ রান। শেষদিকে শেরফান রাদারফোর্ড ৮ বলে ২৯, ওয়াহাব রিয়াজ ১৫ বলে ২৮ ও উমাইদ আসিফ ৯ বলে ২০ রান করলেও জিততে পারেনি পেশোয়ার। এ জয়ের ফলে শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত হয়েছে ইসলামাবাদের। প্রথম রাউন্ডের নয় ম্যাচ শেষে ৭ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে নিজেদের দশ ম্যাচ খেলে ফেলা পেশোয়ার জিতেছে পাঁচ ম্যাচ, ১০ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে টেবিলের দুই নম্বরে।