ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ফর্ম্যাটে সিরিজ জয়ের রেশ কাটিয়ে এখন সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে ভারতীয় ক্রিকেট। এ বছর সামনে বড় লক্ষ্য দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে কি এক সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে?
জবাব যাই হোক, দুই ক্রিকেটারের মধ্যে মানসিক দূরত্বের মেঘ এখন প্রায় নেই বললেই চলে। অন্তত টিম ইন্ডিয়ার এক সূত্রের তেমনই দাবি।
ব্যাপারটা কী রকম?
ক্রিকেটের অভিধানে সব কিছুর মধ্যেই এখন যোগ হয়েছে একটা নতুন শব্দ। সেটা হল, জৈব সুরক্ষা বলয়। এই সুরক্ষা বলয়ের আইসোলেশনে থাকতে হিমশিম অবস্থার কথা অনেক বারই জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে এর সবটাই নেতিবাচক, এমন বলা যাবে না। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটের সেই সূত্র জানিয়েছেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় বেড়েছে টিম বন্ডিং। এবং তার চেয়েও বড় কথা, বিরাট এবং রোহিতের মধ্যে যে দূরত্বের কথা শোনা যায়, তা নাকি কমে এসেছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার দরুন। এবং বিরাট-রোহিতকে কাছাকাছি নিয়ে আসার পুরো প্রক্রিয়ার নেপথ্যে আসল নায়ক টিম ইন্ডিয়ার কোচ রবি শাস্ত্রী।
বিরাট ও রোহিতের মধ্যে যে বেশ কিছু বিষয়ের মতের অমিল ছিল, তা লুকোনোর চেষ্টা করেননি ওই সূত্র। বলেছেন, ‘অন্য অনেক পেশাদার ক্রিকেটারের মতো বিরাট এবং রোহিতের মধ্যেও একাধিক ব্যাপারে মতের ফারাক ছিল। অনেক সময় সেটা সামনেও এসেছে। কিন্তু কয়েক দিন আগে ওরা একসঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। এখন দুজনের সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে।’ যা জানা গিয়েছে, এই বিরাট-রোহিতকে এক করে দেওয়ার পিছনে কোচ শাস্ত্রীই মাস্টার মাইন্ড।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারে ভারত। সেই ম্যাচে ক্যাপ্টেন বিরাটের কিছু সিদ্ধান্ত রোহিতের পছন্দ ছিল না বলে, গুঞ্জন আছে। যা নিয়ে মুখ খোলায় দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। আবার বিরাটকে সরিয়ে রোহিতকে সাদা বলে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন করা হতে পারে বলেও এক সময় জল্পনা ছিল। এখন অবশ্য সব ঠাণ্ডা। রোহিত-বিরাটকে এক টেবিলে বসানো থেকে টিমের গ্রুপ ফটো তোলা, সবতেই শাস্ত্রীর হাত। যদিও ৯ এপ্রিল আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বিরাট-রোহিতের ‘বন্ধুত্ব’ দেখতে চাইবেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তথ্য সূত্র: এই সময়