রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আইপিএলের বরাবর শক্তিশালী দল গড়েও সাফল্য পায় না। খাতায়-কলমে আরসিবি শক্তিশালী দল গড়েছে এবারও। কিন্তু সাফল্য কী আসবে? নাকি দিনের শেষে সেই ব্যর্থতার গল্প লিখেই মাঠ ছাড়তে হবে? নিলামে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে নিউজিল্যান্ডের জেমিসন এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দলে নিয়েছে আরসিবি। গতবার আরবে পঞ্জাবের জার্সিতে চূড়ান্ত ফ্লপ ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ান তারকা একটাও ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। বীরেন্দ্র সেওয়াগ তাঁকে ‘দামি চিয়ার লিডার’ বলে মজা করতে ছাড়েননি।
তবে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব দিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে দলে টেনেছে আরসিবি। অস্ট্রেলিয়ান তারকাকে দলে পেতে ইচ্ছুক ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই। কিন্তু শেষপর্যন্ত হাতে বেশি টাকা থাকায় নিলামের লড়াইয়ে জিতেছিল আরসিবি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে নিজের চেনা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর বিশাল ছক্কা ভেঙে দিয়েছিল দর্শকাসনে একটি বাকেট সিট। ব্যাট করার পাশাপাশি প্রয়োজনে অফস্পিনার হিসেবেও স্বচ্ছন্দে কয়েক ওভার করে দিতে পারেন।
আরসিবি শিবির মনে করে ম্যাক্সওয়েল ইউটিলিটি ক্রিকেটার। একটা ফ্লপ মরশুম দেখে তাঁকে বিচার করা উচিত নয়। এতদিন মূলত বিরাট কোহলি এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স, ব্যর্থ হলে আরসিবি ভেঙে পড়ত। এবার ম্যাক্সওয়েল এবং জেমিসন চলে আসায় কিছুটা ব্যাটিং গভীরতা বেড়েছে লাল জার্সিধারীদের। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ান তারকা নিজেও মরিয়া হয়ে থাকবেন ব্যাট হাতে সমালোচনার জবাব দিতে। পাশাপাশি নতুন নিউজিল্যান্ড তারকা ফিন অ্যালেন কতটা পারফর্ম করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করছে বিরাট, ডিভিলিয়ার্সদের দলের ভাগ্য।
আজপর্যন্ত একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আরসিবি। এবার কী ভাগ্যের চাকা ঘুরবে? উত্তর দেবে সময়। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ঝড় উঠলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যান আজারুদ্দিন যদি নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেন তাহলে একজন তরুণ হার্ডহিটার কে পাবে আরসিবি। সব মিলিয়ে স্বপ্নের ব্যাটিং রথে চড়ে দুঃস্বপ্ন ঘোচানোর আশায় বিরাট কোহলি ব্রিগেড।