বৃষ্টি বাধার কারণে আবাহনী লিমিটেড ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচটি নেমে আসে ১১ ওভারে। নির্ধারিত ওভার ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১০১ রানের সংগ্রহ জমা করে ব্রাদার্স। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারে আসরে টানা তৃতীয় জয় তুলতে ওভার প্রতি ৯ রানের উপরে করতে হতো আকাশী-নীলদের। নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে সেটি করে দেখিয়েছে আবাহনী। ম্যাচ জিতেছে ৯ উইকেটে।

লক্ষ্য টপকাতে নেমে ভালো শুরু পায় আবাহনী। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান করেন দুই ব্যাটসম্যান নাঈম ও মুনিম শাহরিয়ার। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সেটি স্থায়ী করতে পারেননি মুনিম, তার ১২ বলের ইনিংসটি থামে ২৫ রানে। এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে উপরের দিকে উঠে আসেন মুশফিক। নাঈমের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের অবিচ্ছেদ্য জোট থেকে আসে ৬৪ রান।

মাঝে মুশফিককে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ব্রদার্স। তবে ব্যক্তিগত ১৭ রানে থাকা মুশফিকের ক্যাচ হাত থেকে ফেলে দেন আলাউদ্দিন বাবু। জীবন পেয়ে আরও সতর্ক মুশফিক, কিন্তু আগ্রাসী ভাব কমাননি। পরে ৬টি চারের সাহায্যে ২১ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে পাওয়া জয়ে নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ২৬ বলের ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।

এর আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আলাউদ্দিন বাবু ও জাহিদুজ্জামান। ৩টি ছয় ও ১টি চারের মারে মাত্র ১০ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন আলাউদ্দিন বাবু। জাহিদুজ্জামান খেলেন ১০ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস। শেষ ৩ ওভারে আবাহনীর বোলারদের উপরে ধ্বংসলীলা চালিয়ে ৫০ রান তোলেন দুজন।

তাদের সঙ্গে মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দীকীর সমান ২০ রানের উপর ভর করে নির্ধারিতে ১১ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১০১ রানের সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স। আবাহনীর হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ৩ উইকেট নেন। আরাফাত সানি নেন ২ উইকেট।

বিশ্বকাপজয়ী পেসার সাকিব দীর্ঘদিন পর রঙ্গিন পোশাকে ফিরেই বাজিমাত করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলেন। এরপর চোটের কারণে স্বীকৃত ক্রিকেট খেলা হয়নি। মাঝে এক ম্যাচ খেলেন গত মার্চে, তবে সেটি ছিল লঙ্গার ভার্সন ফরম্যাট। আবাহনীর হয়ে আগের দুই ম্যাচেও খেলা হয়নি সাকিবের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ব্রাদার্স: ১০১/৫, ১১ ওভার (জাহিদুজ্জামান ২৫*, আলাহউদ্দিন আব্বু ২৪*, মিজানুর ২০; সাকিব ৩/৯, সানি ২/৫)
আবাহনী: ১০২/১, ৯.৫ ওভার (মুশফিক ৩৭*, নাঈম ৩৬*, মুনিম ২৫; হাবিবুর ১/১৯)

ফল: আবাহনী ৯ রানে জয়ী।

Related posts

ইয়াঙ্কিসের আউটফিল্ডার গ্লেবার টোরেস পিচে আঘাত পাওয়ার পর খেলা থেকে প্রত্যাহার করে নেন

News Desk

নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেলেন কনওয়ে

News Desk

সেমিফাইনালে উঠতে বাধা পান মার্টিনেজ

News Desk

Leave a Comment