আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার পরেই ১৪তম আইপিএলের উদ্বোধন। প্রথম দিনই নামছে গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের সামনে এ বার হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। মুম্বই মোট পাঁচ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাঁদের মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যারা এখনও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি।
এই দুই দল মাঠে নামার আগে চৌম্বকে কতকগুলি পরিসংখ্যান উঠে আসছে।
১) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কখনও শুরুতে জিততে পারেনি। প্রতি বার শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। পরে অবশ্য ঘুরেও দাঁড়ায়। তবে এ বার শুরু থেকেই ভাল ফলের আশায় রোহিত শর্মার দল।
২) চেন্নাইয়ের চিপকে অবশ্য মুম্বইয়ের রেকর্ড খুবই ভাল। এই মাঠে মুম্বই ৮টি আইপিএলের ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে ৭টি ম্যাচই। যেটা কিন্তু বেঙ্গালুরুর চিন্তার কারণ।
৩) ২০১৬ সালের পর আবার এই বছর বিরাট কোহলি ওপেনিং করবেন। যেটা বেঙ্গালুরুর দলটির জন্য বড় অক্সিজেন হতে চলেছে। সদ্য করোনামুক্ত হয়ে দলে যোগ দেওয়া দেবদূত পাড্ডিকল এবং বিরাটের ওপেনিং জুটি এই মরসুমে অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হতে পারে।
৪) মিডল অর্ডারে এবি ডি’ভিলিয়ার্স আরসিবি-র বড় ভরসা। এ বার তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার জন্য দলে যোগ দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলে ম্যাক্সওয়েলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ কিন্তু মোটেও ভাল নয়। তবু তাঁর উপর এই বছর ভরসা রেখেছে বেঙ্গালুরু। সেই ভরসার যোগ্য মর্যাদা দিতে মরিয়া ম্যাক্সওয়েল।
৫) চিপকের পিচ স্পিন সহায়ক। যে কারণে যুজবেন্দ্র চাহাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন। কিউয়ি পেসার কাইলে জেমিসন যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খুব খারাপ পারফরম্যান্স করেছেন, তবুও তাঁর মধ্যে রোহিত শর্মাদের সমস্যায় ফেলার ক্ষমতা রয়েছে।
৬) মহম্মদ সিরাজ এবং নবদ্বীপ সাইনিকে জাতীয় দলের হয়ে জার্সিতে বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া গিয়েছিল। এ বার মুম্বইকে হারাতে তাঁরা কার্যকরী ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
৭) চিপকে শেষ ম্যাচে আবার মাত্র ৭০ রানে থেমে গিয়েছিল আরসিবি। ফলে, সেই দুঃস্বপ্নও তাড়া করতে পারে বিরাটদের।
৮) স্পিন সহায়ক চিপকে মুম্বইয়ের সমস্যা হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে এই দলে ক্রুণাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহাররা এখন রীতিমতো পরিচিত নাম। আছেন পীযূষ চাওলা, জয়ন্ত যাদবরাও। যশপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্টরা রয়েছেন পেস বোলিংয়ের দায়িত্বে। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি’কককে সম্ভবত পাচ্ছে না মুম্বই। ফলে, মুম্বইয়ের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে ক্রিস লিনের। ঈশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদব, কিয়েরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া থাকায় মাঝের ওভারে ঝড় তোলার অসুবিধা হবে না।