করোনা কারণে মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে ২০২১ আইপিএল৷ এর পর থেকেই অক্টোবরে ভারতের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ এখনও ছ’ মাস বাকি থাকলেও ভারতের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেসার প্যাট কামিন্স৷
অজি পেসারের মতে, করোনার কারণে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হলেও কোনও সমস্যাা হবে না৷ হাতে ছ’ মাস সময় থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি না-ঘটলে টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতে আয়োজন করা উচিত নয় বলে মনে করেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে কামিন্স বলেন, ‘হাতে এখনও ছয় মাস সময় রয়েছে৷ সুতরাং টি-২০ বিশ্বকাপ কোথায় হবে, তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আইসিসি নিশ্চয়ই ভারত সরকার ও বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য যেটা ভালো সেটাই করা হোক। ছ’ মাসের মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হলে বিশ্বকাপ আয়োজন না-করাই ভালো।’
বায়ো-বাবলের মধ্যেও একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই৷ সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার বরুণ চক্রবর্তী ও পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়রের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই নড়চড়ে বসেছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিসিআই৷ সেদিন আমদাবাদে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা-ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ৷ একই সঙ্গে কেকেআর-এর পুরে দলকে আইসোলেশনে রাখা হয়৷ তারপর চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালসের একের পর ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসায় কোনও ঝুঁকি নেয় বিসিসিআই৷
আইপিএলে খেলা প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কামিন্স৷ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য করে কামিন্স টুইটারে লিখেছিলেন, ‘ভারত এমন একটা দেশ যাকে আমি অনেকদিন ধরে খুবই ভালোবাসি। এই দেশের সাধারণ মানুষ বিদেশিদের খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নেয়। দেশের সাধারণ মানুষ অক্সিজেনের ওভাবে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে জেনে আমি ভীষণ মর্মাহত। দেশের অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে৷ আশা করি এই সামান্য অর্থ কিছু মানুষের জীবন ফেরাতে কাজে লাগবে। ভারতকে বাঁচানোর জন্য সবাই একজোট হয়ে এগিয়ে আসুন।’