ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলমান আসরে ৭ ম্যাচে কেবল ১ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সপ্তম ম্যাচের আগেই পরিবর্তন করা হয় অধিনায়ক। হঠাৎই অধিনায়কত্ব হারিয়ে হতবাক ও হতাশ হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তারপর তিনি অধিনায়কত্ব হারিয়ে ছিলেন বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার পরে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়ে। দলে ফিরে আবার অধিনায়কত্বও ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার তার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ঘটল। দলের টানা হারে তাকেই যেন একমাত্র দায়ী করা হলো!
দল যখন জয় পাচ্ছে না, ভাগ্য বদলের আশায় তখন অধিনায়কত্ব পরিবর্তন করা যেতেই পারে। কিন্তু সেই সাথে একাদশ থেকেও ওয়ার্নারের জায়গা হারানো সবার কাছেই হয়ত একটু বিস্ময়কর লেগেছে৷ কারণ সর্বশেষ ম্যাচটিতেও যে তিনি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। এবারে ৬ ম্যাচে ৩২.১৭ গড়ে ১৯৩ রান করেছেন ওয়ার্নার। ২টি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। এমন অভিজ্ঞ এক ব্যাটসম্যানই কিনা বার পড়লেন! তবে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১১০.২৮।
নিজের অধিনায়কত্ব হারানোর খবরে যতটা না অবাক হয়েছেন একাদশে জায়গা হারিয়ে আরও বেশি হতাশ হয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীনই ওয়ার্নারের পরিস্থিতি জানান দলটির পরিচালক টম মুডি। মুডি বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম দুইজন ব্যাটসম্যান, একজন অলরাউন্ডার ও রশিদ খানকে নিবো বিদেশি কোটায়। বেয়ারস্টো ও উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ফর্মে আছে। একজনকে বাদ দিতেই হতো। দুর্ভাগ্যবশত ডেভিডকেই বাদ পড়তে হলো। এই সিদ্ধান্তে সে খুব বিস্মিত ও হতাশ হয়েছে।’
হায়দরাবাদের কোচ ট্রেভর বেইলিস স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন এই একাদশ ভালো ফলাফল এনে দিতে পারলে আর জায়গা পাবেন না ওয়ার্নার। তবে শুরুতেই হোচট খেল তারা। দলের ৪ বিদেশি জনি বেয়ারস্টো ৩০, উইলিয়ামসন ২০ ও মোহাম্মদ নবী ১৭ রান করেছেন। রশিদ ০ রানে আউট হলেও বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ১টি উইকেট পেয়েছেন। নবী ১ ওভার বোলিং করে ২১ রান খরচ করেছেন।
অধিনায়ক ও একাদশ বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি হায়দরাবাদের। জস বাটলারের সেঞ্চুরি এবং মুস্তাফিজুর রহমান ও ক্রিস মরিসের ৩ উইকেট শিকারের দিনে রাজস্থানের কাছে হায়দরাবাদ হেরেছে ৫৫ রানে।