Image default
খেলা

বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জিতেছেন কারা?

কাতারের মাটিতে ফুটবল মহারণের মহাযজ্ঞ বসতে বাকি আর মাত্র ৫ দিন। ইতোমধ্যেই কাতারে আসতে শুরু করেছে বিশ্বকাপের দলগুলো। কাতারের রাজধানী দোহা পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের ভক্ত-সমর্থক দিয়ে। জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে কে বিশ্বকাপ কার ঘরে যাবে সেটি নিয়েও।

প্রতি ফুটবল বিশ্বকাপের আগেই চ্যাম্পিয়ন, রানার্স-আপ কে হবে সেটি নিয়ে আলোচনা থাকে তুঙ্গে। সঙ্গে থাকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে গোল্ডেন বল বা সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট কে জিতবে।



১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গোল্ডেন বুট এ্যাওয়ার্ডের প্রচলন শুরু করে ফিফা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এর নাম ছিল গোল্ডেন শ্যু। ২০১০ সাল থেকে গোল্ডেন বুট নামেই এটি পরিচিত। এর আগের আসরগুলোতে গোল্ডেন শ্যুর পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতাকে সিলভার ও ব্রোঞ্জ শ্যু প্রদান করা হতো।

৮২ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গোল্ডেন শ্যু দেওয়ার আগে ১৯৩০ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন গুইলার্মো স্ট্যাবিল ৮ গোল করে প্রথম ফুটবলার হিসেবে এই গোল্ডেন শ্যু এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছিলেন।

১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইন একাই ১৩ গোল করে জেতেন গোল্ডেন শ্যু। আজ পর্যন্তও বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ডটিও ফন্টেইনের দখলেই রয়ে গেছে। 

আজ পর্যন্ত কোন খেলোয়াড়ই একাধিকবার গল্ডফেন বুট জেতেননি। তবে ৬ জন ব্রাজিলিয়ান এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন যা কোন দেশের জন্য সর্বাধিক।

কাতারের মাটিতেও গোল্ডেন বুট কে জিতবে তা নিয়ে জল্পনা -কল্পনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের মাঝে। মাঠের খেলায় সর্বোচ্চ গোল দিয়ে গোল্ডেন বুট কে জিতবে সেটি তো সময়ই বলে দিবে। তার আগে চলুন জেনে আসা যাক  বিশ্বকাপের বিগত আসরগুলোতে কে জিতেছিলো গোল্ডেন বুট।  

এ পর্যন্ত গোল্ডেন বুট বিজয়ী খেলোয়াড়ের তালিকা :

সাল

আয়োজক দেশ

গোল্ডেন বুট জয়ী

গোলসংখ্যা

১৯৩০

উরুগুয়ে

গুইলার্মো স্ট্যাবিল (আর্জেন্টিনা)

১৯৩৪

ইতালি

অল্ড্রিচ নেয়েডলি (চেকস্লোভেনিয়া)

১৯৩৮

ফ্রান্স

লিওনিডাস (ব্রাজিল)

১৯৫০

ব্রাজিল

আদেমির (ব্রাজিল)

১৯৫৪

সুইডেন

জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স)

১৩

১৯৬২

চিলি

ফ্লোরিয়ান আলবার্ট (হাঙ্গেরি), ভ্যালেন্টিন ইভানোভ (সোভিয়েত ইউনিয়ন), গারিঞ্চা ও ভাভা (ব্রাজিল), ড্রাজান জারকোভিচ (যুগোস্লাভিয়া), লিওনেল সানচেজ (চিলি)

১৯৬৬

ইংল্যান্ড

ইউসেবিও (পর্তুগাল)

১৯৭০

মেক্সিকো

জার্ড মুলার (জার্মানি)

১০

১৯৭৪

পশ্চিম জার্মানি

গ্রিগর্জ লাটো (পোল্যান্ড)

১৯৭৮

আর্জেন্টিনা

মারিও কেম্পেস (আর্জেন্টিনা)

১৯৮২

স্পেন

পাওলো রসি (ইতালি)

১৯৮৬

মেস্কিকো

গ্যারি লিনেকার (ইংল্যান্ড)

১৯৯০

ইতালি

সালভাতোও শিলাচি (ইতালি)

১৯৯৪

যুক্তরাষ্ট্র

ওলেগ সেলেঙ্কা (রাশিয়া), স্টোয়েচকভ (বুলগেরিয়া)

১৯৯৮

ফ্রান্স

ডেভর সুকার (ক্রোয়েশিয়া)

২০০২

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া

রোনালদো নাজারিও ডি লিমা (ব্রাজিল)

২০০৬

জার্মানি

মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি)

২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকা

থমাস মুলার (জার্মানি)

২০১৪

ব্রাজিল

হামেস রদ্রিগেজ (কলম্বিয়া)

২০১৮

রাশিয়া

হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড)

Source link

Related posts

লিটনকে যে পরামর্শ দিলেন বাবর-রিজওয়ান

News Desk

স্টোকস রাজস্থানের এক্স-ফ্যাক্টর: বাটলার

News Desk

স্বাগতিক ওমানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

News Desk

Leave a Comment