ভারতের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হলেও আইপিএল চলছিল নিজের গতিতেই। ২৮টি ম্যাচও মাঠে গড়িয়েছিল সমস্যা ছাড়াই। তবে এরপরই বাধে বিপত্তি। তিন দলে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। ফলে স্থগিতই করে দিতে হয় আইপিএল।
এর ফলে প্রশ্নও উঠছে বেশ। বিশেষত আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। সম্প্রতি এর জবাব খুঁজেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু কারণ।
আইপিএল এবার হওয়ার কথা ছিল ছয়টি শহরে। শহর পরিবর্তনের জন্য বিমান বন্দর ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকায় সেখান থেকে করোনা সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গেল সপ্তাহে আইপিএল কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খাওয়ার অনুমতিও দিয়েছিল খেলোয়াড়, স্টাফদের। তা পৌঁছে দিতে আসা ব্যক্তিদের শরীর থেকেও জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছড়িয়ে থাকতে পারে করোনাভাইরাস, ধারণা সংবাদ মাধ্যমটির।
এখানেই শেষ নয়, আইপিএলের বায়ো বাবলে খেলোয়াড়-স্টাফরা ছিলেন। তবে যে স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে সেখানকার অন্যান্য কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা ছিল শুরু থেকেই। সেখান থেকেও করোনা আইপিএলে ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গেলবছরও মাঠে গড়িয়েছিল আইপিএল। তবে সেই ১৩তম আসরের আগে দুয়েকজন ক্রিকেটারের শরীরে ধরা পরে করোনার অস্তিত্ব। তবে এরপর আর কোনো সমস্যাই হয়নি টুর্নামেন্ট আয়োজনে।
তবে সে আইপিএলের সঙ্গে এবারের পার্থক্য হচ্ছে, এবার ভেন্যুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় জৈব বলয় ভেঙে বিমানবন্দর ব্যবহার করা হয়, যা গেলবারের আইপিএলে ছিল না।
সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা হচ্ছে, ‘রেস্ত্রাতা’ নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়ভার ছিল জৈব সুরক্ষা বলয় বজায় রাখার। ইংল্যান্ড ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটিকে এবার অবশ্য আইপিএলে ডাকা হয়নি। এবার জৈব বলয় মেনে চলার জন্য নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি ও লোকবল দিয়ে কাজটা সারতে হয়েছে। এনডিটিভির ধারণা, এবার জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ক্রিকেটারদের করোনাক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে এটাও কাজ করেছে।