বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। তবে দূরত্ব বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি সেই দেশের ফুটবল দলকে সমর্থন দিতে। গেল কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশে জনজোয়ার নেমেছিল। চারদিকে নীল-সাদা পতাকা এবং জার্সিতে ছেয়ে গিয়েছিল। কিছু মুহূর্তের জন্য বাংলাদেশ যেন দ্বিতীয় আর্জেন্টিনা হয়ে উঠেছিল সেসময়। আর সর্বশেষ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর তো রাস্তায় রাস্তায় বাঁধ ভাঙা উল্লাসে মেতেছিল সমর্থকরা। আর এসব কিছুই নাকি দেখেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশের জনগণ বিভিন্ন ভাবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসির প্রতি তাদের সমর্থন জানায় এবং আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পর দেশ জুড়ে আনন্দ-উৎসব করা হতো সেসময় সারা বিশ্বের মিডিয়া সেই খবর এবং ভিডিওগুলো তুলে ধরে এতে বাংলাদেশের এমন আর্জেন্টাইন প্রীতি সবার নজর কাড়ে। সেগুলো দেখে আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি কাতারে এক প্রেস কনফারেন্সে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথমে দিয়েগো (মারাদোনা), পরে মেসির কারণে আর্জেন্টিনার ফুটবলের সমর্থক বেড়েছে। বাংলাদেশে আমাদের এমন সমর্থন আছে জেনে আমি গর্বিত। শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্য অনেক দেশের মানুষও আমাদের সমর্থন করে।’
বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এবার বাংলাদেশকে নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মেসি। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার ডিয়ারিও ওলে’কে বিশ্বকাপ নিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশিদের সমর্থন সম্পর্কে মেসি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ঐ উন্মাদনা দেখেছি। সর্বত্র ছিল আমাদের জার্সি। ফাইনালের আগে সোফি (মার্টিনেজ) আমাকে বিষয়টি নিয়ে বলেছিল। সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষের গায়ে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি। এটা দারুণ এক ব্যাপার।’
এসময় সাক্ষাৎকারে মেসি কাতার বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনার মানুষ কীভাবে এক মাসের জন্য তাদের কষ্ট ভুলে গিয়েছিল তা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ একমাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আর্জেন্টিনার মানুষ সব দুঃখ, কষ্ট ভুলে অনেক উপভোগ করেছিল। আমরা তাদের সমস্ত যন্ত্রণা থেকে বের করে এনেছিলাম। তাদের সেসময় শুধু ভাবতে ব্যস্ত রেখেছিলাম ফুটবল এবং বিশ্বকাপ নিয়ে।’