ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকার জ্বালাও আছে। প্রত্যাশা থাকে সবার বেশি। বেলজিয়াম সেই চাপটা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করে। যে কারণে তাদের কাছ থেকে সবগুলো ম্যাচেই জয় প্রত্যাশা করেন সমর্থকরা। কিন্তু ফিনল্যান্ডের মত দলকে সামনে পেয়েও যখন গোল আদায় করতে পারছিল না বেলজিয়ানরা, তখন কিছুটা হতাশা তৈরি হয় বৈ কি।
কিন্তু বড় দলগুলোর সঙ্গে সৌভাগ্যও থাকে সম্ভবত। না হয়, কেন আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যাবে তারা? ফিনল্যান্ড নিজেদের জাল অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেয়েছিল ৭৪ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় এসে নিজেদের জালেই বল প্রবেশ করিয়ে দেয় লুকাস রাদেকি। তাতে যতটা না বেলজিয়াম এগিয়েছে, তার চেয়ে বেশি মনোবল ভেঙেছে ফিনল্যান্ডেরই।
শেষ পর্যন্ত রোমেলু লুকাকুর পা থেকে এসেছে আরো একটি গোল। এই দুই গোলেই ২-০ ব্যবধান ঠিক রেখে জয় দিয়ে ম্যাচ শেষ করলো বেলজিয়াম। সে সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপের শ্রেষ্ঠত্বও নিশ্চিত হলো তাদের। ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসের পর তৃতীয় দল হিসেবে সবগুলো ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো ইডেন হ্যাজার্ড-রোমেলু লুকাকুরা।
পুরো ম্যাচেই একাধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বেলজিয়াম। কিন্তু গোলের দেখাটাই মিলছিল না তাদের। শেষ পর্যন্ত ৭৪ মিনিটে যা’ও গোল হলো, সেটাও পেলো আত্মঘাতি থেকে। তাও গোলটি এলো ফিনল্যান্ডের গোলরক্ষক লুকাস র্যাডেকির কাছ থেকে। অর্থ্যাৎ গোলরক্ষক নিজেই বল জড়িয়ে দিলেন নিজেদের জালে।
থমাস ভার্মালিনের হেডকে ঠেকাতে গিয়ে গোলরক্ষক লুকাস র্যাডেকি নিজেই বলকে জড়িয়ে দেন নিজেদের জালে। ৮২ মিনিটে কেভিড ডি ব্রুইনের পাস থেকে জয়ের গোলটি করেন রোমেলু লুকাকু। ২৭ জুন তৃতীয় হওয়া কোন একটি দলের বিপক্ষে খেলবে বেলজিয়ানরা। ২৬ জুন ওয়েলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে মাঠে নামবে ডেনমার্ক।
তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য এখনও সুযোগ রয়েছে ফিনল্যান্ডের। তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে যদি সেরা চারে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতেও পারে তারা। আপাতত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাদের। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন বলেন, ‘এটা ছিল সত্যিই খুব কঠিন একটি ম্যাচ। আমরা জানতাম, ফিনল্যান্ড খুবই নিখুঁত ফুটবল খেলে। তাদের ডিফেন্স ভাঙা খুবই কঠিন। তবে যখনই স্কোর হলো, তখনই বুঝলাম, তারা এবার উঠে আসবে এবং ডিফেন্স অনেকটাই ওপেন হয়ে যাবে।