খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার, অপরাজিত থেকেছেন ৯২ রানে। সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় (৮৫*) ও তানজিদ হাসান তামিমরা (৭৯*)। কিন্তু কেউই পারেননি সেঞ্চুরি তুলে নিতে। অবশেষে প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে গিয়ে মিলল সেই ম্যাজিক্যাল ফিগারের দেখা। সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা ছুঁয়ে ফেললেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ডানহাতি ওপেনার মিজানুর রহমান।
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম এবং বাংলাদেশের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৩ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৬৫ বল খেলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন ২৯ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমারদের একজন মিজানুর। গত কয়েক মৌসুম ধরে সব ফরম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে রান করছেন তিনি। আর চলতি প্রিমিয়ার লিগে যেন ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেও। এবারের লিগে কোনো ব্যাটসম্যানের নেই দুইয়ের বেশি ফিফটি, সেখানে মিজান খেলেছেন চারটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।
লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চারশ রানের মাইলফলকটাও স্পর্শ করেছেন তিনি। শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৮২তম রান নেয়ার মাধ্যমে ৪শ রান পূরণ হয় তার। খেলা থামার আগে ৬৫ বলে ঠিক ১০০ রানেই অপরাজিত রয়েছেন তিনি। ব্রাদার্সের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৩ রান। মিজানুরের আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন ও নাইম শেখ। এদের মধ্যে একের বেশি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম করেছেন তিন সেঞ্চুরি। যেখানে একটি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, অন্য দুইটি ঘরোয়া ক্রিকেটে। নাজমুল শান্তর দুই সেঞ্চুরিই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে।