দেশের নারী ফুটবলের আইকন সাবিনা খাতুন। তার আচরণ অন্যরা অনুসরণ করবে। দূর থেকে সাবিনাকে খুব বিনয়ী মনে হয়। এবং যারা কাছে যায় এবং কথা বলে তারা সাথে সাথে তাদের মন পরিবর্তন করে। সাবিনা মন খারাপ করে কথা বলে। সাবিনার বাড়ি সাতক্ষীরায়। এই অঞ্চলের স্থানীয় ওয়ারিয়র স্পোর্টস একাডেমি ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বিকাশ ও বসুন্ধরার সহযোগিতায় ওয়ারিয়র স্পোর্টস একাডেমি ফুটবল টুর্নামেন্ট গতকাল সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে।
আল-মুহারিব স্পোর্টস একাডেমি ফর ফুটবলের সভাপতি আবু সাঈদ ও মহাসচিব সাবিনা খাতুন। মহিলা জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নিতে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল। বাফ সেটা জানে না। এমন প্রশ্নে হতাশ সাবিনা বলেন, এখন সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নেই তার। তিনি আর কোন প্রশ্ন করার আগেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করলেন। তবে তার সঙ্গে কথা বলার অনেক চেষ্টার পর তিনি ইত্তেফাক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হলেও ম্যাচ শেষে সাবিনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনি পাওফিকে জিজ্ঞেস করছেন। খেলোয়াড়দের রঙ কমলা থেকে। উপরন্তু, Pavoff অপমান করা হয়. কোনো সমস্যা হলে বাফুফে আক্রমণ করা হয়। সাতক্ষীরায় এমন আয়োজন সবাইকে খুশি করুক।
দেখা যাচ্ছে যে নারী জাতীয় দলের আটজন খেলোয়াড় চারটি দলে খেলেন। তাদের মধ্যে সাতক্ষীরা স্পোর্টস একাডেমির মাসুরা পারভীন ও মারজিয়া, সাতক্ষীরা লেকভিউ সিটি দলে শামছুন্নাহার সিনিয়র এবং শামছুন্নাহার জুনিয়র, এ.ডব্লিউ. মারিয়া মান্দা ও মাতসুশিমা সোমিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে এবং গোলরক্ষক রুবানা চাকমা ও তহুরা সাতক্ষীরার শিংরি বাংলা এফসি-এর হয়ে খেলে। বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় আসেন এই খেলোয়াড়রা। তাদের মধ্যে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে খড়িবেলার মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টে রাত কাটান। টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকুন। এছাড়া মাসুরা পারভীন তার পরিবারের সাথে শহরের উপকণ্ঠে নিজ গ্রামের বিনেরপোতা জেলায় বসবাস করেন।
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মধুমল্লারডাঙ্গীতে নিজ বাড়িতে উঠছেন সাবিনা খাতুন। তবে ঢাকার অতিথি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাটান তিনি। তবে তিনি কোনো খেলায় অংশ নেবেন না বলে জানানো হয়েছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন দ্য গ্রেট। এআর স্পোর্টিং লেকভিউ সিটিকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে। বিজয়ী দলের পক্ষে সৌম্য 2, স্বপ্না 2, মারিয়া মান্দা 1, রুবিনা 1 এবং শামছুনহার জুনিয়র 1 ও শামছুনহার কবির প্রত্যেকে একটি করে করে।