ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে ম্যান সিটি। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে ফাইনালে উঠল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের এক মৌসুমে ১১টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এই কীর্তি নেই ইংল্যান্ডের আর কোনো দলের।
তুষারে মাঠের অনেকটা জায়গা ঢেকে ছিল। তবে কোনো কিছুই থামাতে পারেনি দুর্দান্ত সিটিকে। পিএসজির জন্য হিসেবটা আগে থেকেই ছিল বেশ কঠিন। শুধু জিতলেই হতো না, ব্যবধানটাও রাখতে হতো যথেষ্ট। তেমন কিছুর সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
পাঁচ মিনিট পরেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। একটু পর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগে সুযোগ পায় পিএসজি; কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। প্রথম দেখায দলের একমাত্র গোলটি করা মার্কিনিয়োসের হেড ক্রসবারে বাধা পায়। পরের সুযোগটি আসে প্রতিপক্ষের ভুলে; কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সতীর্থকে পাস দিয়েছিলেন এদেরসন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় ওই বল ধরেই শট নেন দি মারিয়া। একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির আগে আবারও ভীতি ছড়ান মাহরেজ। তবে এ যাত্রায় তার দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন নাভাস।
মেজাজ হারিয়ে দি মারিয়া ৬৯তম মিনিটে লাল কার্ড দেখলে পিএসজির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়। সাইডলাইনে বাইরে অহেতুক সিটির অধিনায়ক ফের্নানদিনিয়োকের পায়ে পাড়া দিয়ে বহিষ্কার হন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধেও দু-দফায় দুই পক্ষের মাঝে একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। লাল কার্ডের সিদ্ধান্তে আবারও তাই হয়। হাতহাতিও চলে কিছুটা। পরের চার মিনিটে দুই দলের আরও তিন জন দেখেন হলুদ কার্ড।
বিরতির পর ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। তবে ফোডেনের শট নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে পোস্ট কাঁপায়। বাকিটা সময়ও রক্ষণ জমাট রেখে শেষ বাঁশির সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে গুয়ার্দিওলার দল।
ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম ইংল্যান্ডের কোনো দল এক আসরে ১১টি ম্যাচ জিতল। পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব পার করা সিটি নকআউট পর্বে জিতল সব ম্যাচ।