আবারও পাকিস্তানকে ফুটবলের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ২৭ শে মার্চ ফেডারেশনে হামলায় তৃতীয় পক্ষের’হস্তক্ষেপ হয়েছে—এমন অভিযোগে পাকিস্তানকে ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। আজ এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।
পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের ফিফা অনুমোদিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে সম্প্রতি সরকারি হস্তক্ষেপে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই মূলত নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা তখনই উঠবে যখন ফিফা অনুমোদিত কার্যনির্বাহী কমিটি ফেডারেশনের দায়িত্ব নিবে।
বর্তমানে পিএফএফের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হারুন মালিক। তিনি দাবি করেন, শনিবার (২৭ মার্চ) সাবেক সভাপতি তার কাছ থেকে ফেডারেশনের ব্যাংক আকাউন্টের কাগজ বুঝে নিয়েছেন। তিনি বলেন,
“আমি অফিসে ছিলাম। এই সময় বেশ কয়েকজন প্রবেশ করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন আশফাক হোসেন শাহ। জোর করে আমার কাছ থেকে সব ব্যাংকের তথ্যগুলো নিয়ে নেন।”
২০১৮ সালে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের দেখানো রূপরেখায় নির্বাচনে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হন আশফাক হোসেন শাহ। যদিও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) তাকে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে মেনে নেয়নি।
পাকিস্তান ফুটবলের এমন নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৭ সালে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটি ফেডারেশনের দায়িত্ব নিলে ফিফা তাদের নিষিদ্ধ করে। পরে ফিফার হস্তক্ষেপে একটি নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
এ মুহূর্তে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ২০০। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্বে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দুই লেগে যথাক্রমে ২-০ ও ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় তারা।
শুধু পাকিস্তানই নয়, নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফ্রিকান দেশ চাঁদ ফুটবল ফেডারেশনকেও। সে দেশটির ফুটবলে ফেডারেশনেও সরকারী হস্তক্ষেপ পড়েছে। যে কারণে ফিফার ব্যুরো কাউন্সিল এই নিষেধজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছে।