বছর চারেক আগে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমালেও এতদিন দেশটির স্থায়ী নাগরিক ছিলেন না ডেভন কনওয়ে। গেল বছরের আগস্টে কিউদের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন শুধু। চার বছরেও স্থায়ী নাগরিকত্ব না পাওয়ায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল কনওয়ের ইংল্যান্ড সফর নিয়ে। তবে দিন দুয়েক আগেই কনওয়েকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। ফলে ইংল্যান্ড সফরে যেতে আর কোনো বাধা থাকছে না তাঁর।

আগামী মে’তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। আইপিএলের কারণে খেলবেন না দলের নিয়মিত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ফলে ইংল্যান্ডের সফরের দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর আগে অবশ্য বিপত্তি বাধিয়েছিল দেশটির সরকারের নিয়ম।

করোনা সংক্রমণ রোধে নিউজিল্যান্ড সরকার তাদের স্থায়ী নাগরিকদের বিশেষ শর্তে দেশের বাইরে যাওয়ার এবং দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। আর নাগরিক না হলে একবার দেশ থেকে বের হয়ে গেলে প্রবেশের অনুমতি মেলে না। এতদিন দেশটির স্থায়ী নাগরিক না হওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন কনওয়ে।

সিরিজের আগে অবশ্য সেই বাধা কাটিয়ে ওঠেছেন তিনি। দল ঘোষণার করার দুদিন আগে কনওয়েকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দিয়েছে দেশটির সরকার। কনওয়েকে নাগরিকত্ব দেয়ায় এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁকে দলে পাওয়ায় বেশ খুশি নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড।

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন আগে ইতিবাচক একটি খবর এসেছে। এটি মঞ্জুর (নাগরিকত্ব) হয়েছে যে তাকে (কনওয়ে) দেশ ফিরতে দেয়া হবে। আমরা কনওয়ে ও তার স্ত্রী কিমের জন্য খুবই খুশি। যারা কিনা লাইনটি পেরিয়ে গেছে।’

কনওয়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকায়। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুটাও সেখানেই। গটেংয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণিতে অভিষেকের সময় তার সতীর্থ ছিলেন টেম্বা বাভুমা। যিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের অধিনায়ক। গটেং ছাড়া ডলফিনস, নাটাল, লায়ন্সদের হয়ে খেলেছিলেন। এমনিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক উপায়ে সেখানে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন।

গটেং ছাড়া অন্য দলগুলোর হয়ে রেকর্ডও খুব একটা সুবিধার ছিল না তার. ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ২০১৭ সালে পড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। সেবছরই সুপার স্ম্যাশে অভিষেক, পরের বছর প্লাঙ্কেট শিল্ডে। ফায়ারবার্ডসের হয়ে শিল্ডে করলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ার জুড়ে ওয়েলিংটনের এই দলের হয়ে কনওয়ের প্রথম শ্রেণিতে গড় ৬৬.২৫, লিস্ট ‘এ’-তে ৪৭.১৯।

কনওয়েকে নিয়ে উচ্চাশা এমনই ছিল, নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জনের তিন মাস আগেই বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এসে পড়েছিলেন তিনি। চলতি গ্রীষ্মে হয়ে যায় অভিষেকও। তারপর থেকেই কনওয়ের ব্যাট চলছে সমানতালে। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে কিউদের হয়ে খেলেছেন ১৪ টি ইনিংস। ৬৩.৪৫ গড়ে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরির সুবাদে করেছেন ৬৯৮ রান।

Related posts

বিপর্যয়কর গেম 1 বন্ধ করার পরে রেঞ্জার্স জিনিসগুলিকে ‘সহজ’ রাখতে চায়

News Desk

ইলিয়া সোরোকিন পাথুরে মরসুমের পরে তার খেলা খুঁজে পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: ‘আমি ফিরে আসব’

News Desk

হান্টার ব্রাউন 2024-এ অ্যাস্ট্রোসের ভয়ঙ্কর সূচনা অব্যাহত থাকায় একটি পচা আউটিং নেয়

News Desk

Leave a Comment