মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়ে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) পরের তিন ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। একই সঙ্গে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। মূলত ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ার্সদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ এই শাস্তির কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ অফিসিয়ালদের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলাম, সেটা পেয়েছি। দুইটা অভিযোগ ছিল। একটি ৪.৬ ওভারে এলবিডব্লিউর আবেদন, যার প্রতিক্রিয়া সাকিব লাথি মেরে উইকেট ভেঙে দিয়েছেন। আরেকটা ছিল ৫.৫ ওভারের পর, যখন আম্পায়াররা মাঠে কভার ডাকেন এবং সাকিব উইকেট তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেন। আমরা যে রিপোর্ট দেখেছি, তাতে দুই অপরাধের জন্য লেভেল-৩ সাকিবের বিরুদ্ধে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে তার নিষেধাজ্ঞা ৩ ম্যাচ এবং জরিমানা ৫ লাখ টাকা।’
এর আগে বিকেলে মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার তথ্য দিলেও তা ভুল ছিল বলে জানা গেছে। তবে সাকিব অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর করে দেওয়ায় এই শাস্তিই বহাল থাকবে। শাস্তির ব্যাপারে আপত্তি থাকলে শুনানিতে ডাকা হতো তাকে। মূলত সাকিবের বিরুদ্ধে আচরণবিধির ‘লেভেল থ্রি’ ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে মোহামেডান অধিনায়ককে বড় বিপদে পড়তে হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার মিরপুরে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে ঘটনার সূত্রপাত হয়। শুরুতে এলবিডব্লিউ নিয়ে আম্পায়ারের ওপর অসন্তোষ জানিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব। এখানেই শেষ না, বৃষ্টির কারণে ৬ ওভারের এক বল বাকি থাকতে ম্যাচ বন্ধ রাখার ডাক দিলে তিনটি স্ট্যাম্পও তুলে আছাড় মারেন সাকিব। এরপর আবার ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পর আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও হয় বাক-বিতণ্ডা হয় সাকিবের।