দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার অভাব। সেই আক্ষেপে ঘোচাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আশার প্রদীপ হয়ে আসেন। তবে চোট আর অফ ফর্মে টাইগার দলে নিয়মিত হতে পারছেন না তিনি। আছেন আসা-যাওয়ার মাঝে। এমন অবস্থায় শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে সাইফউদ্দিনকে নিয়ে দলের ভাবনায় কথা জানাতে গিয়ে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো যে বার্তা দিয়েছিলেন, সেটি খুব বেশি সুখকর ছিল না।

ডমিঙ্গোর জবাব ছিল, সাইফউদ্দিনকে আরও প্রমাণ দিতে হবে। মারকুটে ব্যাটিং পারলেও শীর্ষ ছয়ে ব্যাট করার মতো হয়ে ওঠেননি তিনি। অতীতে ঘরের মাটিতে ভালো করেছে, তবে সময় পক্ষে না থাকলে পারফরম্যান্স দিয়ে পক্ষে আনতে হবে। এমনকি তরুণ শহিদুল ইসলামকেও সাইফ উদ্দিনের বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন ডমিঙ্গো।

বৃষ্টির কারণে আবাহনী বনাম ওল্ড ডিওএইচএসের ম্যাচটি ১৯ ওভারে নেমে আসে। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। এই রানের জবাব দিতে নেমে ১১৩ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস। ফলে ২২ রানে ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল আবাহনী লিমিটেড।

ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ওপেনার রাকিন আহমেদ সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। ৪৪ বল মোকাবিলা করে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আনিসুল হক ইমনের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। বিশ্বকাপজয়ী অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় গত ম্যাচে ফিফটির স্বাদ পেলেও এ ম্যাচে ফেরেন ১৫ রান করে। অপরজিত দুই ব্যাটসম্যান রাইহান হাসানের ১৯ ও মোহাইমিনুলের ১০ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। ১১৩ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস। ফলে ২২ রানে ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল আবাহনী লিমিটেড।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখ আর মুনিম শাহরিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে জমা করেন ২৫ রান। ২৩ রানই আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। তবে সেই ইনিংসটি টেনে নিতে পারেননি তিনি। আব্দুর রশিদের বলে ফেরেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। তিনে ব্যাট করতে নেমে শান্ত আউট হন ১১ করে। মুনিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। এদিন ব্যর্থ মুশফিকের ব্যাটও। ৬ রান করে আউট হন তিনি। তাকে ফেরান বিশ্বকাপজয়ী অনুর্ধ্ব-১৯ দলের স্পিনার রাকিবুল হাসান।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও রান আসেনি। ১৩ ওভার শেষে ৭২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আফিফ হোসেন ও সাইফউদ্দিন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬১ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন। ২১০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে।

অন্যপ্রান্তে ধরে খেলে আফিফ শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ২৯ বলের ইনিংসে ২টি চার মারেন তিনি। এতে নির্ধারিত ১৯ ওভারে ১৩৫ রানে থামে আবাহনীর ইনিংস।

Related posts

বিধ্বংসী বোলিংয়ে উড়ে গেল ক্যারিবীয়রা

News Desk

কম্বোডিয়ায় জামাল-রাকিবদের জয়

News Desk

আইরিশদের হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো কিউইরা

News Desk

Leave a Comment