ইনিংসের ১৩তম ওভার, মেহেদী হাসান মিরাজের বলটা থার্ড ম্যানে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বল তার ব্যাটে চুমো দিয়ে জমা পড়ে আকবর আলির গ্লাভসে। দ্বিগ-বিজয়ের উল্লাসে মাতেন মিরাজ-আকবর আলি।
মুশফিকের উইকেটের মূল্যটা এ তরুণদের ভালোই জানা আছে। আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে খুলনার অধিনায়কের ৬৪ রানের জুটি ভেঙে যায়। রান তাড়ার মিশনে দারুণ অবস্থানে থাকা খুলনা সেখানেই বড়সড় ধাক্কা খায়। প্রেসবক্সে তখন সবার মুখে মুখে ফিরছিল যে, মুশফিক আসলে ম্যাচটাই ফেলে গেলেন!
মিরাজের করা ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ তুলে দিলেন থিসারা পেরেরা। সহজেই তা তালুবন্দি করেছেন মিরাজ। দুরন্ত এক জয়ের উল্লাসে মাতে চট্টগ্রাম। ম্যাচের পর ভগ্নমনরথে মাঠে আসেন মুশফিক। হাত মেলানোর পর্ব শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের দিকে ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান তিনি। যেন পা চলছিল না তার! দৌড়ে এসে দলের এক কর্মকর্তা ক্যাপ দিয়ে গেলেন।
মুশফিকের এই বিষণ্ণ বদন অমূলক নয়। টানা অষ্টম বার বিপিএল ট্রফি অধরা থেকে গেলো বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের কাছে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফি, তামিম, সাকিবরা বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ট্রফির বঞ্চনা শুধু মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর জন্য। ফাইনাল খেললেও তাদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে ট্রফি।
গতকাল চট্টগ্রামের কাছে খুলনার ৭ রানে হারের মধ্য দিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসর শেষ হয়ে গেলো মুশফিকের। ১১ ম্যাচে ২৫১ রান করেছেন তিনি, হাফ সেঞ্চুরি একটি। আট আসরে সাতটি দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার।
এবার খুলনা টাইগার্স সরাসরি দলে নিয়েছিল তাকে। অনেক অম্লমধুর সময় ঠেলে প্লে-অফে উঠেছিল খুলনা। কিন্তু শূন্য হাতেই ফিরতে হলো তাকে। এর আগে বিপিএলে দুরন্ত রাজশাহী, সিলেট রয়্যালস, বরিশাল বুলস, রাজশাহী কিংস, চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইগার্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক।