জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৪ রানের। হাতে ছিল যথেষ্ট সময়। তৃতীয়দিন শেষ বিকেলে ৬ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা বুঝতে পারলো ব্যাট করা কতটা কঠিন।
সেই কঠিন কাজটাকেই আর সহজ করতে পারলো না ক্যারিবীয়রা। অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৫৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। মূলতঃ কেশভ মাহারাজের ঘূর্ণিতেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। হ্যাটট্রিকের সঙ্গে একাই ৫ উইকেট নেন এই প্রোটিয়া স্পিনার।
প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ৬৩ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেন্ট লুসিয়ার গ্রসলেট আইলেটে দ্বিতীয় টেস্টেও পেলো বড় ব্যবধানে জয়। সে সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেন প্রোটিয়ারা। সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৮ রান তোলে। ডিন এলগার ৭৭ ও কুইন্টন ডি কক ৯৬ রান করেন। রাবাদা নট-আউট থাকেন ২১ রানে। ৩টি করে উইকেট নেন কাইল মায়ার্স এবং কেমার রোচ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্ল্যাকউড ৪৯ ও শাই হোপ ৪৩ রান করেন। মালডার ৩টি এবং রাবাদা, এনগিদি ও কেশব মাহারাজ ২টি করে উইকেট নেন। ১৪৯ রানে এগিয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ১৭৪ রানে। ফন ডার ডুসেন ৭৫ ও রাবাদা ৪০ রান করেন। রোচ ৪টি ও মায়ার্স ৩টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩২৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তারা শেষ ইনিংসে অল আউট হয়ে যায় ১৬৫ রানে। কাইরন পাওয়েল ৫১ ও মায়ার্স ৩৪ রান করেন। কেশব মহারাজ ছাড়াও ৩টি উইকেট দখল করেন রাবাদা। ম্যাচের সেরা রয়েছেন ব্যাটে-বলে সফল কাগিসো রাবাদা। সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে কুইন্টন ডি ককের হাতে।